• দিলীপের হুমকি, ‘বাড়িতে ঢুকে মারব’, পাল্টা বাংলোর সামনে বিক্ষোভ তৃণমূলের, সরগরম খড়গপুর
    এই সময় | ২২ মার্চ ২০২৫
  • শুক্রবারই আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার তারই পুনরাবৃত্তি চলে দিনভর। এ দিন সকালে ফের সুর চড়ান দিলীপ। তৃণমূল কর্মীদের হুমকি দেন, ‘বাড়িতে ঢুকে মারব।’ দিলীপের বক্তব্য শুনেই খড়গপুরে তাঁর বাংলোর সামনে হাজির হন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। বাংলোতে ছিলেন না বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। তৃণমূলের দলবল দুপুরে ফিরে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলোয় ফেরেন তিনি। বিকেলে বাংলো ছাড়ার আগে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে যান তিনি।

    শনিবার সাত সকালে খড়গপুরের বোগদাতে চা-চক্র থেকে মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘বেশি বেয়াদবি করলে, ছ্যাবলামি করলে...বাড়িতে ঢুকে মারব...চৌরাস্তায় টেনে এনে মারব!’ দিলীপের হুঁশিয়ারিতে ক্ষেপে গিয়েই দুপুর নাগাদ দিলীপ ঘোষের বাংলোর সামনে উপস্থিত হন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা, কর্মী।

    তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি দেবাশিস চৌধুরীর নেতৃত্বে ছ-সাত জন কাউন্সিলর-সহ একাধিক কর্মীরা দিলীপ ঘোষের বাংলোর সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিজেপি-র জেলা সাধারণ সম্পাদক সমিত মণ্ডলের নেতৃত্বে বিজেপির বেশ কিছু নেতাকর্মীও পৌঁছে যান সেখানে। ফলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় শনিবার দুপুরে। যদিও, দিলীপ ঘোষ বাংলো ছাড়েন অনেক আগেই।

    তৃণমূল নেতা দেবাশিস চৌধুরী বলেন, ‘দিলীপবাবু আমাদের মারবেন বলেছিলেন। আমরা মার খেতে এসেছি। দেখি ওঁর কত দম।...উনি যদি বাপের ব্যাটা হতেন, তা হলে আজ খড়গপুর শহরেই থাকতেন। পালিয়ে যেতেন না!’ উত্তেজনার খবর পেয়ে কিছুক্ষণ বাদেই বেলা আড়াইটা নাগাদ নিজের বাংলোতে পৌঁছন দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলের হুঁশিয়ারির পাল্টা তিনি বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ এত সহজে জায়গা ছাড়ে না! গায়ের জোরে রাজনীতি করতে চাইলে, দিলীপ ঘোষ রাজি। ওঁদের হয়তো পুলিশ চলে যেতে বলেছে। যাক, সুবুদ্ধি হয়েছে! কিন্তু এই ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে।’

    ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘রাস্তার একজন বখাটে ছেলের থেকেও কদর্য ভাষা ব্যবহার করেন দিলীপ ঘোষ। এখন রাজ্য সভাপতি হওয়ার দৌড়ে আসার জন্যই তিনি এই সমস্ত করে বেড়াচ্ছেন। মহিলাদের অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করছেন। তাঁর সম্পর্কে কিছু বলতে আমাদের লজ্জা লাগে।’

  • Link to this news (এই সময়)