চাঁদকুমার বড়াল ■ কোচবিহার
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এপ্রিল মাসেই চালু হয়ে যাবে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত পথ নিউ কোচবিহার থেকে বামনহাট পর্যন্ত ইলেকট্রিক ট্রেন চলাচল। ফলে সীমান্তের এই জনপদ আর্থসামাজিক উন্নয়নের দিশা দেখবে বলেই মনে করছেন রেলকর্তারা। শুক্রবার রেলপথের এই বৈদ্যুতিকরণের কাজ খতিয়ে দেখেন রেলের প্রিন্সিপাল চিফ ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ কুমার। সেই সঙ্গে ছিলেন আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম অমরজিৎ গৌতম–সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
কাজটির দায়িত্বে থাকা সংস্থা ইরকনের চিফ জেনারেল ম্যানেজার কুন্তল ঘোষ বলেন, 'এ দিন কাজটির সমস্ত খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখা হয়েছে। এ ভাবে সবকিছু এগোলে সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে আমরা শংসাপত্র পেয়ে যাব। এর পরে রেল যে কোনও দিন এই পথে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালানো হবে।' এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ নিউ কোচবিহার রেলস্টেশন থেকে ডিজ়েল চালিত ইঞ্জিনের একটি বিশেষ ট্রেনে যাত্রা শুরু হয়। দুপুরে বামনহাট স্টেশনে পৌঁছে ওই ট্রেনে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন লাগানো হয়। একই ভাবে আবার ফিরে আসা হয় নিউ কোচবিহারে। গোটা রেলপথে বিদ্যুৎ সরবরাহ, সমস্ত যান্ত্রিক সরঞ্জাম ঠিক রয়েছে কি না, ওভারহেড তারে কোনও সমস্যা, নতুন ইঞ্জিনের গতিবেগ, খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা।
নিউ কোচবিহার থেকে বামনহাট পর্যন্ত রেলপথে বৈদ্যুতিকরণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের শেষদিকে। ইরকন সংস্থা কাজটির দায়িত্ব নেয়। ২০২৪ সালে ডিসেম্বরে কাজটি শেষ হয়। সব মিলিয়ে এই প্রকল্পে প্রায় ৬০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের এক কর্তা বলেন, 'সীমান্ত এলাকার সঙ্গে রেলপথে যোগাযোগ পরিষেবা উন্নত করতেই এই উদ্যোগ। বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের মাধ্যমে ট্রেনের গতিবেগ বাড়বে। পাশাপাশি পরিবেশেও তার কুপ্রভাব পড়বে না।' বৈদ্যুতিকরণের ফলে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসকে শিয়ালদহ থেকে নিউ কোচবিহারে এসে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন বদল করে ডিজ়েল ইঞ্জিন লাগানোর প্রয়োজন হবে না।