লালকেল্লার ভাষণ থেকে ‘লাখপতি দিদি’ প্রকল্পের কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদীর এই প্রকল্পকেই প্রচারের হাতিয়ার করেছিল বিজেপি। ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই প্রকল্পের উপর ভর করেই মালদায় নিজেদের ভিত শক্ত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির? এ বার ‘লাখপতি দিদি’ যোজনা ইংরেজবাজার বিধানসভায় চালু করার উদ্যোগ নিলেন বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।
জনসমর্থন পেতে রাজ্যের শাসক দলের অন্যতম প্রধান অস্ত্র ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। বিশেষত মহিলা ভোটারদের সমর্থন পেতে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বলেই দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তারই পাল্টা মহিলাদের আর্থিক সাহায্যের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানোর ব্যাপারে জোর দিচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব।
ভারতীয় ডাক বিভাগের সহযোগিতায় ‘লাখপতি দিদি’ যোজনা নিয়ে এক সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজন করা হয় পুরাতন মালদার সাহাপুর এলাকার এক বেসরকারি হোটেলে। কর্মশালায় ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা ডাক বিভাগের মুখ্য আধিকারিক সনজিৎ মুখোপাধ্যায়। ডাক বিভাগের কর্মী-সহ বেশ কয়েকজন লাখপতি মহিলা উদ্যোগপতি হাজির ছিলেন এই কর্মশালায়। লাখপতি দিদি যোজনা কী? প্রয়োজনীয়তা কেমন? এর উদ্দেশ্য কী? সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয় এই কর্মশালায়।
বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী বলেন, ‘অনুদান নয়। মহিলাদের স্বনির্ভর করতে হবে সারা দেশের মধ্যে ইংরেজবাজারে খুব দ্রুত ১০০ জন মহিলাকে লাখপতি দিদি প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।’ শ্রীরূপা জানান, লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের কেবল অনুদান দেওয়া হবে। তাঁদের স্বনির্ভর করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর লাখপতি দিদি প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলারা স্বনির্ভর হতে পারবেন।
বিজেপির এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু বলেন, ‘বিজেপি সব সময় বড় বড় কথা বলে। যা কাজে কখনই পূরণ হয় না। জনগণকেও ভুল বুঝানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-এর জন্য আজকে বাংলার সমস্ত মেয়েরা অনেক উপকৃত হচ্ছেন।’