• ৪০০ বছরের প্রাচীন পুজো, আজও নিয়ম মেনে বট গাছে পূজিতা দেবী শীতলা
    এই সময় | ২৩ মার্চ ২০২৫
  • প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো পুজো। এখনও প্রাচীন নিয়ম মেনেই দেবী শীতলা রূপে পূজিত হয় বট বৃক্ষ। নদিয়ার রানাঘাটের হবিবপুর পুরাতন বাজারে হয় এই পুজো, ভিড় জমান ওই এলাকায় অন্তত ২২টি গ্রামের বাসিন্দারা। প্রাচীন এই পুজোকে কেন্দ্র করে প্রচলিত রয়েছে নানা লোককথা।

    স্থানীয় লোককথা হিসেবে প্রচলিত রয়েছে একটি গল্প। সেই গল্পের যোগ রয়েছে চাঁদ সওদাগরের সঙ্গে। লখিন্দরের পিতা চাঁদ সওদাগর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময়ে ভাগীরথী নদী থেকে জল তুলে আরোগ্য কামনা করতেই তিনি নাকি স্বপ্নাদেশ পান, ওই জায়গায় মা শীতলার আরাধনা করতে। তার পরে স্থানে বট গাছের চারা রোপণ করে শুরু হয় দেবীর আরাধনা। কথিত আছে, এই পুজোর সূচনা করেছিলেন চাঁদ সওদাগর। ভক্তদের বিশ্বাস, এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত।

    পুজোর উদ্যোক্তারা জানান, প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন এই পুজো। আশপাশের ২২টি গ্রামের মানুষ একসঙ্গে দেবী শীতলার আরাধনা করেন। মূলত দোল পূর্ণিমার সাত দিন পরে শুরু হয় এই পুজো। চলে দশ দিন ধরে। এই দশ দিন ধরে হাজির হন হাজার হাজার ভক্ত। এই বছর শনিবার সকালে পুজো শুরু হয়েছে, প্রথম দিন থেকেই নেমেছে ভক্তদের ঢল। প্রদীপ, মোমবাতি, ধূপ জ্বালিয়ে দেবীর পুজো দিচ্ছেন ভক্তরা।

    ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী শীতলা কাউকেই ফেরান না। সবার মনস্কামনা পূরণ করেন তিনি। বিয়ের সমস্যা থেকে শুরু করে জটিল রোগের সমস্যা, বহু ভক্ত বহু সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রার্থনা করতে অপেক্ষা করেন এই পুজোর জন্য। রানাঘাট, হবিবপুর ছাড়াও নদিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ভক্তরা ছুটে আসেন দেবীর পুজোয়।

  • Link to this news (এই সময়)