এই সময়: ২০২৬–এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সামাজিক মাধ্যমে রিলস, শর্টসের ঝড় তুলতে চাইছে তৃণমূলের সাইবার সৈনিকদের সংগঠন ‘ফ্যাম’। এর সঙ্গে নতুন কী কী কৌশলে প্রচার করা হবে, তা ঠিক করতে আজ, রবিবার দক্ষিণ কলকাতার কলতান কমিউনিটি প্রেক্ষাগৃহে ফ্যামের সর্বস্তরের নেতৃত্ব বৈঠক করতে চলেছেন।
এই বৈঠকে ফ্যামের ২৩টি জেলা কমিটির সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করার পাশাপাশি রাজ্যস্তরের কোর কমিটির সদস্যদের পূর্ণাঙ্গ তালিকাও ঘোষণা করা হবে। ফ্যামের কোন নেতা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের কোন দায়িত্বে থাকবেন, তা–ও ঠিক করা হবে।
২০২৬ –এর ভোটের কথা মাথায় রেখে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ের উপরে ফ্যামের সদস্যদের গুরুত্ব দিতে হবে, বৈঠকে তার পরামর্শ দেবেন রাজ্যের মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বাবুল সুপ্রিয়, সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, তৃণমূলের আইটি সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্যরা।
ফ্যামের এই বৈঠক ঘিরে কলকাতা জুড়ে দলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়র ছবি দেওয়া ব্যানার, পোস্টার দিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি তাপস সাধুখাঁ, সাধারণ সম্পাদক রিয়া দে মল্লিক, দীর্ঘদিনের সংগঠক সৌরভ দাস প্রমুখ।
সৌরভের কথায়, ‘আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রচারের রণকৌশল নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হবে। একই সঙ্গে বিজেপির আইটি সেলের কুৎসা–অপপ্রচার অথবা সিপিএমের সমালোচনারও কড়া জবাব দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে।’ ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডল, ইনস্টাগ্রাম— এই তিনটি সামাজিক মাধ্যমে ফ্যাম সব থেকে বেশি সক্রিয়। ফ্যামের রাজ্য নেতাদের মধ্যে কয়েকজন গ্র্যাফিক্স ডিজ়াইনিং, ভিডিয়ো এডিটিংয়ের কাজে পটু। কী ভাবে সামাজিক মাধ্যমে কোনও বিষয়কে ট্রেন্ডিং করতে হয়, তাঁরা জানেন।
এঁরাই জেলা নেতাদের ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষণ, কর্মশালার ব্যবস্থা করেন। তাঁরাই এ বার রিলস, শর্টসের উপরে বাড়তি জোর দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। ফ্যামের টেক–স্যাভি এক নেতার কথায়, ‘দীর্ঘ ভিডিয়োর বদলে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা রিলস, শর্টস দেখতে পছন্দ করেন। সেই কারণে আমরা সামাজিক মাধ্যমে রিলস, শর্টস তৈরির উপর জোর দিচ্ছি।’
মাঠে–ময়দানে নেমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রচার যেমন অত্যন্ত জরুরি, একই ভাবে সামাজিক মাধ্যমে এই প্রচার চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে স্নেহাশিস, ঋতব্রতদের পর্যবেক্ষণ। ইতিমধ্যে মমতা ও অভিষেকের ছবি দিয়ে আলাদা আলাদা করে পোস্টারও শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দেওয়া হয়েছে।
স্নেহাশিসের কথায়, ‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগের মতোই সোশ্যাল মিডিয়া জনসংযোগের জোরদার হাতিয়ার। অপপ্রচারকে খণ্ডন করার প্ল্যাটফর্ম। ফ্যাম সেই কাজ করছে। আগামী দিনে এই কাজের রোডম্যাপ নিয়েই এই বৈঠকে আলোচনা হবে।’
ঋতব্রতর কথায়, ‘দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে বাংলা বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে তৃণমূল পরিবার লড়াই চালাচ্ছে। বাংলা বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে ডিজিটাল দুনিয়ায় কী ভাবে আরও জোরদার লড়াই করা যায় তা নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হবে।’