• ব্যবসা বাঁচানোর লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ, চারাগাছ বিলি
    এই সময় | ২৩ মার্চ ২০২৫
  • সুমন ঘোষ ■ পশ্চিম মেদিনীপুর

    বিনামূল্যে গাছের চারা দেওয়া হবে। সঙ্গে দেওয়া হবে সার। শুধু জমির মালিকের দায়িত্বে থাকবে গাছটি। আর তাকে পাহারা দেওয়া। গাছটি বড় হলে কাঠ কিনে নেওয়া হবে। কিন্তু গাছ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কাঠ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ছাড়া কাউকে বেচা যাবে না। এমনই উদ্যোগ নিয়েছেন এই সংগঠন।  রাজ্য জুড়ে প্রচুর শ-মিল রয়েছে। মিল চালাতে প্রয়োজন কাঠের। কিন্তু কাঠ মিলবে কোথায়? যত দিন যাচ্ছে ততই কমছে কাঠের জোগান। সরকারি ভাবে প্রত্যেক বছর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও শ-মিল ব্যবসার তেমন উন্নতি হয়নি। কিন্তু কাঠের আসবাবের গুরুত্ব এখনও কমেনি।

    সমিতির জেলা সম্পাদক আব্দুল রশিদ বলেন, 'আমরা নিখরচায় চারা গাছ দেবো। প্রয়োজনীয় সার ও কীটনাশক দেবো। প্রযুক্তিও দেবো। শুধু জমি দেবে জমির মালিক। আর গাছ যাতে চুরি না যায়, সে জন্য পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে জমির মালিককে। গাছ বড় হলে সেই সময়ের নিৱিখে কাঠের যে মূল্য সেই ন্যায্য মূল্যেই কাঠ কিনে নিয়ে যাব আমরা। শর্ত একটাই, ওই গাছ আমাদের সমিতিকে ছাড়া অন্য কাউকে বেচা যাবে না।' 

    এ ক্ষেত্রে জমির মালিকের গাছ লাগানো থেকে বড় করার জন্য কোনও খরচ করতে হচ্ছে না। কিন্তু গাছ বড় হলে তা বেচে তিনি ন্যায্য মূল্য পাবেন। তবে এর জন্য সমিতির লোকজন ন্যূনতম ২ একর জমির মালিক খুঁজছেন। কিন্তু কোনও ছোট জায়গার মালিককে তাঁরা চারা দেবেন না। সমিতির সম্পাদক জানান, এখনও পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৪৫ হাজার চারা গাছ দেওয়া হয়েছে। কেউ ১০টি, কেউ আবার ২০-২৫টি গাছ লাগিয়েছেন।

    তবে যে গাছের কাঠ ব্যবহার করা যায় না, সেই গাছ দেওয়া হবে না। আম, জাম, আকাশমণি, ইউক্যালিপটাস প্রভৃতি গাছের চারা দেওয়া হচ্ছে। প্রতি তিন মাস অন্তর গাছের অবস্থা দেখতে যাবেন সমিতির সদস্যরা। গাছ বড় হলে কাটার পরে ফের লাগানো হবে। সমিতির এক সদস্য জানান, গাছের অভাবে কাঠ ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শ-মিল মালিকদের অবস্থাও খারাপ। এই পরিস্থিতিতে যদি গাছ লাগানো না যায়, তা হলে কাঠ ব্যবসাটা আর থাকবে না। নদিয়াতে প্রথম এটা চালু হয়েছে। তা দেখেই পশ্চিম মেদিনীপুরে শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। 

  • Link to this news (এই সময়)