'টাকা না পারলে কিডনি দাও', সুদের টাকা শোধ করতে না পারায় কেটে নেওয়া হল কিডনি? ঘটনা জানলে শিউরে উঠবেন...
আজকাল | ২৩ মার্চ ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ধার নিয়েছিলেন। সময়ে শোধ করতে পারেননি। তার পরিণাম যা হল, শুনলে শিউরে উঠবেন।
জানা গিয়েছে, যে যুবক ধার নিয়েছিলেন টাকা, সময়ে তা শোধ করতে না পারায়, টাকা শোধ করার জন্য কিডনি বিক্রি করে দেওয়ার চাপ দিচ্ছিল সুদখোর ব্যক্তি। ঋণগ্রস্ত যুবকের স্ত্রীর একটি কিডনি কেটেও নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই কিডনি পাচারকারী ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা অশোকনগর থানার হরিপুরে।
ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, সংসার চালাতে গিয়ে অশোকনগরের এক যুবক দেনায় ডুবেছিলেন। পরবর্তীতে অশোকনগর থানার হরিপুর ভৈরবতলা এলাকার বিকাশ ঘোষ ওরফে শীতলের কাছ থেকে তিনি ৬০ হাজার টাকা সুদে ধার নিয়েছিলেন। আসল টাকা তিনি শোধ করতে পারেননি।
বিকাশ তাঁর কাছ থেকে প্রায় এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা সুদ নিয়েছিলেন বলেও জানা যায়। বাকি টাকা ফেরানোর সামর্থ্য নেই, বারবার একথা বুঝিয়ে লাভ হয়নি। অভিযোগ, টাকা শোধ করার জন্য শীতল ওই যুবককে কিডনি বিক্রি করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। চাপে পড়ে ওই যুবক ও তাঁর স্ত্রী শীতলের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। শীতলই তা৬দের যোগাযোগ করিয়ে দেন জনৈক মহিলার সঙ্গে। ওই মহিলা যুবকের স্ত্রীকে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যায়। কিডনি বিক্রিও হয়। এদিকে কিডনির বিনিময়ে পাওয়া টাকা থেকে শীতল ওই ৬০ হাজার টাকা ছাড়াও আরও দুই লক্ষ টাকা দাবি করে বসে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতেই অশোকনগর থানার দ্বারস্থ হন যুবক। তিনি অশোকনগর থানায় শীতলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ধারের টাকা শোধ করার জন্য স্ত্রীর কিডনি কেটে নেওয়ার কথা অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন। পুলিশ কিডনি পাচার চক্রে জড়িত সুদখোর শীতলকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সে বড়সড় কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। ঋণের জালে পড়ে আরও কতজনকে এই ঘটনায় বাধ্য করেছে, পুলিশ খতিয়ে দেখছে।