পানীয় জল খেয়ে অসুস্থ কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। গত দু-তিন দিন ধরে পর পর বেশ কিছু জন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বমি, পায়খানার ও জ্বরের মতো উপসর্গ নিয়ে তাঁরা সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি। ইতিমধ্যেই এলাকায় পানীয় জল ব্যবহারের উপর সতর্কতা জারি হয়েছে। অনুমান, সে জল থেকেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। এলাকাবাসীকে সচেতন করতে পথে নেমেছেন স্থানীয় কাউন্সিলাররা। টোটোতে করে এলাকায় ঘুরে ঘুরে সচেতনতা মূলক প্রচার করেছেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত তিন চার দিন আগে থেকে এলাকায় একের পর এক এক মানুষ অসুস্থ হতে শুরু করেন। ডায়ারিয়ার লক্ষণ নিয়ে তাঁরা সাগর দত্ত ও ই এস আই হাসপাতালে ভর্তি হন। ক্রমে অসুস্থের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, জল থেকেই এই ডায়ারিয়া ছড়িয়েছে। কয়েক দিন ধরেই এলাকার মানুষজন এ ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অভিযোগ, এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে জলের সমস্যা। এলাকাবাসীর আনুমান, এলাকার নোংরা জল কোনওরকম ভাবে পানীয় জলের পাইপ লাইনে ঢুকেছে। সেখান থেকেই জল দূষিত হয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।
পুরসভার নিকাশি ব্যবস্থার দিকেও আঙুল তুলছেন এলাকাবাসীরা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতে দেখে আসরে নেমেছেন এলাকার পুর প্রতিনিধি । ঘটনার খবর পেয়ে পুরসভার তরফ থেকে এলাকায় বিকল্প পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে । ইতিমধ্যেই জলের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে । স্থানীয় বাসিন্দা রিনা শিট বলেন, ‘হঠাৎ করে আমার ছেলে সকালে উঠে বমি পায়খানা করতে শুরু করে।আজ তিন দিন হাসপাতালে ভর্তি, পায়খানা এখনও বন্ধ হয়নি। ওকে এখন আইসিইউতে রেখেছে।’
প্রসাসন সুত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মোট দশ থেকে বারো জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যদিও স্থানীয়দের দাবি, আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জনের কাছাকাছি। কিছু জনের অবস্থা যথেষ্টই আশঙ্কা জনক। যদিও স্থানীয়দের এই দাবি মানতে নারাজ পুরসভার কাউন্সিলার নির্মলা রাই। তিনি জানান, এক দু’জন কী বলছে তাতে কী যায় আসে, দশ বারো জন হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়েছে।’ ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।