এই সময়, দিঘা: মূর্তি পুজো থেকে ভোগ নিবেদন—সব কিছুই পুরীর মন্দিরের আদলে হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে। এমনকী পুরীর মন্দিরে যে কারুকাজ করা হয়েছে, তাও দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে গেলে দেখতে পাবেন দর্শনার্থীরা—এমনটাই জানাচ্ছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন আর এক মাস বাকি। দিঘা জুড়ে এখন শুধু ব্যস্ততা।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরীর মন্দিরের উচ্চতায় কলিঙ্গ স্থাপত্য ও নগর শৈলী তৈরি হয়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে। মন্দিরের প্রধান দ্বার বা দরজা গিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলেই প্রথমে পড়বে তিনটি দীপস্তম্ভ। পুরীর মন্দিরের মতো দিঘার মূল মন্দিরে প্রবেশের জন্যে রয়েছে ৪টি দ্বার।
পুরীর মন্দিরের মতো উত্তরে হস্তীদ্বার, দক্ষিণে অশ্বদ্বার, পূর্বদিকে সিংহদ্বার ও পশ্চিমে ব্যাঘ্রদ্বার রয়েছে। শুধু তাই নয় মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী এই মন্দিরে রত্নভাণ্ডারও গড়ে উঠবে। রয়েছে অরুণ স্তম্ভও। যা পুরীর মন্দিরে অরুণ স্তম্ভ বা সূর্য স্তম্ভ বলে পরিচিত। অরুণ স্তম্ভের সামনের সিংহদ্বারে ঢুকলেই পুরীর মতো সোজাসুজি জগন্নাথ মূর্তি দেখতে পাবেন ভক্তরা।
এখানেও রয়েছে ভোগ মণ্ডপ। ভোগ মণ্ডপের চারটি দরজা। ভোগ মণ্ডপের পরে রয়েছে নাট মন্দির। ১৬টি স্তম্ভের উপরে এই নাট মন্দির তৈরি করা হয়েছে। নাট মন্দিরে রয়েছে দু’টি বড় ও দু’টি ছোট দরজা। নাট মন্দিরের দেওয়ালে রয়েছে কালো পাথরে তৈরি ছোট ছোট দশাবতার মূর্তি। মন্দিরের পাথরের দেওয়াল জুড়ে রয়েছে পাথরের কারুকাজ।
জানা গিয়েছে, পুরীর মন্দিরের মতো দিঘার মন্দিরে থাকছে লক্ষ্মী মন্দির, জগন্নাথের ভোগ রান্নার জন্যে আলাদা ভোগশালা। প্রতিদিন নিয়ম মেনে মন্দিরের চূড়ায় ধ্বজা পরিবর্তন করা হবে। আর এই কাজ করবেন পুরীর মন্দির থেকে আসা দক্ষ লোকজন। ২৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দিঘার মন্দির পরিদর্শনে এসেছিলেন পুরীর দ্বৈতাপতি।
তিনি জানিয়েছিলেন, নিম কাঠের মূর্তিতে পূজিত হবেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। পুরীর নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট দিনে হবে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা। দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, ‘পর্ষদ মন্দিরের বাইরের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করছে। উদ্বোধন সংক্রান্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও রাজ্য প্রশাসন বলতে পারবে। তা ছাড়া মন্দিরের ট্রাস্টি কমিটিও রয়েছে।’