এই সময়: লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে চেন্নাইয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের আহ্বানে শনিবার জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকে প্রত্যাশিত ভাবে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন উপস্থিত ছিলেন। সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন স্ট্যালিন।
তবে দিল্লিতে ২২–২৩ মার্চ সিপিএমের পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক থাকার কারণে তাঁর পক্ষে চেন্নাই যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে সেলিম গত ২০ মার্চ জানান স্ট্যালিনকে। তবে সেলিমকে আমন্ত্রণ সিপিএমের মধ্যে নতুন জল্পনা তৈরি করেছে।
কারণ, বয়সের কারণে সিপিএমের আসন্ন মাদুরাই পার্টি কংগ্রেসের পরে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিজয়ন, প্রকাশ কারাট, বৃন্দা কারাট, মানিক সরকার–সহ একদল নেতার বিদায় নেওয়ার কথা। সিপিএমের নতুন সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে সেলিম ‘যোগ্যতম’ ব্যক্তি বলে দলের একাধিক নেতার পর্যবেক্ষণ।
বয়সের ভারে বিজয়ন, কারাটরা বিদায় নিলে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে অভিজ্ঞতম নেতা হিসেবে থাকবেন সেলিমই। রয়েছেন কেরালার এমএ বেবি–ও। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, জাতীয় রাজনীতিতে সেলিমের অভিজ্ঞতা বেবির তুলনায় বেশি।
সিপিএমের এই সমীকরণের দিকে তাকিয়েই স্ট্যালিন চেন্নাইয়ের বৈঠকে সেলিমকেও আমন্ত্রণ করেছিলেন কি না, এই নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা চলছে। মাদুরাই পার্টি কংগ্রেসের আগে দিল্লিতে সিপিএমের শেষ কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক রবিবার দিল্লিতে শেষ হয়েছে। পার্টি কংগ্রেসে পেশ হতে চলা খসড়া রাজনৈতিক–সাংগঠনিক প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় কমিটিতে অনুমোদিত হয়েছে।
খসড়া রাজনৈতিক প্রতিবেদনের উপরে আগেই কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক সদস্য কিছু সংশোধনী জমা দিয়েছেন। সেই সংশোধনীর একাংশ খসড়ায় অন্তর্ভুক্তও করা হয়েছে। তবে এখন সিপিএমের মধ্যে মূল কৌতূহল হয়েছে প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরির ব্যাটন কার হাতে যাবে, তা নিয়ে।
সিপিএম নেতাদের একাংশের বক্তব্য, বয়সের কারণে মোট যে সাতজন কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিদায় নেবেন, তাঁদের মধ্যে এক–দু’জনকে ‘ব্যতিক্রমী’ হিসেবে চিহ্নিত করে মাদুরাই পার্টি কংগ্রেসে গঠিত নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে ফের রাখা হতে পারে। কিন্তু এঁদের মধ্যে কারও নতুন সম্পাদক হওয়ার সম্ভবনা প্রায় নেই বললেই চলে। সেই নতুন সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে সেলিম যে ধারে–ভারে অনেক এগিয়ে, স্ট্যালিনের চিঠি তার ইঙ্গিতবাহী বলে কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন বঙ্গ নেতার পর্যবেক্ষণ।