হাওড়ার ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বিপর্যয় নিয়ে আতঙ্ক তো কাটছেই না, উল্টে এলাকার লোকজনের আশঙ্কা, ফের ধস না নামে। ইতিমধ্যেই এলাকার প্রায় ২০টি পরিবারকে বাড়ি থেকে সরিয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে রাখা হয়েছে। অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছেন তাঁরা। বাড়ির ফাটলে চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে তাঁদের কপালে। এই বিপদ কাটিয়ে কবে বাড়িতে ফিরবেন, তাও তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
রবিবার বেলগাছিয়ার ওই ভাগাড় এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সরকারি আধিকারিকরা। ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিমও। হাওড়া পুর কমিশনার বন্দনা পখরিওয়াল জানান, বিশেষজ্ঞ, সিনিয়র ইঞ্জিনিয়াররা এলাকা ঘুরে দেখেছেন। সঙ্গে ছিলেন পুরসভার আধাকারিকরাও। হাওড়ার জেলাশাসককে রিপোর্টও দেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, রবিবার বিশেষজ্ঞদের যে দল হাওড়ায় গিয়েছিল, তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে মাটি পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছে। ফের ধসের আশঙ্কা পুরোপুরি উড়িয়ে দিতে পারছে না কেউই। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিপদ কতটা, তা বুঝতে মাটি পরীক্ষাই ভরসা।
ইন্টারন্যাশনাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সোসাইটির তরফে প্রতিনিধি গিয়েছিলেন রবিবার। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে। তাঁদের মত, এই বিপদ এক দিনে হয়নি, এক দিনে সমাধানও হবে না। বরং যে কোনও সময় আরও বড় বিপদ হতে পারে। ইন্টিগ্রেটেড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের পক্ষেও সওয়াল করেছেন তাঁরা। রিসাইক্লিং সে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
হাওড়ার বেলগাছিয়ায় আবর্জনার ‘তিন পাহাড়’। এর মধ্যে বর্জ্যের একটি পাহাড় এখনও রয়েছে। পাশেরটি থেকে কিছুটা কমানো হয়েছে আবর্জনা। তৃতীয়টি পরিষ্কার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, তাতেই বিপদ আরও বেড়েছে। ভারসাম্যের গোলমাল হয়েছে। তার উপর মাটির সহনক্ষমতাও কমেছে। এর মধ্যে আবার গোদের উপর বিষফোঁড়া, মাটি থেকে মিথাইন গ্যাসের নির্গমন। ফলে আরও বড় বিপদ যে কোনও সময়ই ঘনাতে পারে বলে আশঙ্কা ভূবিজ্ঞানীদের। এই ভাগাড়ের কারণেই আঁধার নামছে এলাকায়। তবে কি বর্জ্যের পাহাড় ভেঙেই সবদিক রক্ষা করতে হবে? সিদ্ধান্ত হতে পারে আজই।