• যাদবপুর তদন্তে পুলিশের দুই নীতি
    আনন্দবাজার | ২৪ মার্চ ২০২৫
  • পুলিশ-প্রশাসনের যেন দু’টি মুখ। দেড় বছর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে র‌্যাগিং-কাণ্ডে বাংলা প্রথম বর্ষের নবাগত ছাত্রের মৃত্যুর মামলায় সাক্ষ‍্য গ্রহণ চলছে ঢিমেতালে। যাদবপুরে গত ১ মার্চের গোলমালের ক্ষেত্রেও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়িতে ছাত্র আহত হওয়ার অভিযোগ নিয়ে তদন্তের গতিপ্রকৃতি যা, তার থেকে অনেক বেশি সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে ছাত্রদের ব্রাত্যের গাড়িতে হামলার অভিযোগ নিয়ে। নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে, বিষয় বুঝে এমন সক্রিয়তার ফারাক কেন?

    পুলিশের দাবি, তদন্ত যথাযথ ভাবেই চলছে।

    সম্প্রতি যাদবপুরের এক ছাত্রের আগাম জামিনের আর্জি মঞ্জুর করে হাই কোর্ট। ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ থাকলেও সেই হামলায় কারও আঘাত বিপজ্জনক বা গুরুতর নয় বলেও বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে তাঁদের নির্দেশে মন্তব‍্য করেছেন।

    শুক্রবার ওই নির্দেশে হাই কোর্টের তরফে যুক্তি, “আগাম জামিনের আবেদনকারীর কোনও পূর্ব অপরাধের ইতিহাস নেই। এ ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগটি হামলার। এবং আঘাতের ধরন খুঁটিয়ে দেখে বোঝা যাচ্ছে, যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁরা কেউ মারাত্মক জখম হননি।”

    পাশাপাশি, হাই কোর্টের নির্দেশে শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে অন‍্যদের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কত দূর এগোল, এর সদুত্তর মেলেনি পুলিশের কাছে।

    ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন আইনজীবীরা। দেখা যাচ্ছে, ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন‍্যায় সংহিতার ধারায় খুনের চেষ্টা বা বিপজ্জনক ভাবে আঘাত করার মতো অভিযোগ আনা হলেও এখনও পর্যন্ত কারও আঘাতই গুরুতর বলে প্রমাণ করতে পারেনি পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে, তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির দফতরে আগুন লাগানোর ঘটনা নিয়েও। যাদবপুরের রেজিস্ট্রারের কাছে পেশ করা একটি চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, নিরাপত্তা কর্মী বলরাম সাহা ১ মার্চ রাত দশটা নাগাদ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পিছনে তৃণমূলের শিক্ষাকর্মীদের
  • Link to this news (আনন্দবাজার)