সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল আরজি করের নির্যাতিতার পরিবার। সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে সেই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, সিবিআইকে আদালতে কেস ডায়েরি আনতে হবে এবং তদন্তের অগ্রগতির তথ্য জানাতে হবে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, এই মামলায় ফের তদন্ত হোক হাইকোর্টের নজরদারিতে। দরকারে সিট গঠনও হোক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তিন জন খুব গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদই করা হয়নি। এ দিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কি একাই এই ঘটনায় যুক্ত, না আরও কেউ জড়িত? বিচারপতি ঘোষ বলেন, ‘একজন সাজা পেয়েছে। কিন্তু এটা কি গণধর্ষণ, নাকি একজনই ঘটনা ঘটিয়েছে?’ আদালতের নির্দেশ, খুনে অভিযুক্ত এই একজনই কি না, তা স্পষ্ট করুক সিবিআই। তদন্ত শুরুর সময় কারা সন্দেহের তালিকায় ছিলেন? আর কোনও অভিযুক্ত কি আছে? কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে পরের শুনানিতে।
বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে সিবিআই জানায়, তদন্তকারী অফিসার রাজ্যের বাইরে আছেন। তাই কিছুটা সময় দেওয়া হোক। তারা সব প্রশ্নেরই জবাব দেবে। অন্য দিকে রাজ্যের তরফে এ দিন আদালতে বলা হয়, ‘বিচার হয়ে গিয়েছে। ফলে আইনে কি এই মুহূর্তে নতুন করে তদন্তের সুযোগ আছে? তেমনটা হলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে আমরা আইনের যুক্তি আদালতের সামনে তুলে ধরছি।’
অন্য দিকে, সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী নতুন করে এই মামলায় তাকে যুক্ত করার আবেদন জানান। যদিও আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি। আদালতের বক্তব্য, যদি এমন কোনও নির্দেশ জারি হয়, যার জেরে তার ক্ষতি হতে পারে, তখন কোর্ট ভাববে।
এ দিন সিবিআই দু’সপ্তাহ সময় চায় আদালতের কাছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, আগামী শুনানিতে সিবিআইকে কেস ডায়রি-সহ তদন্তের অগ্রগতির তথ্য জানাতে হবে। ২৮ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি।