• ‘আমাকে শুধু সই করতে বলা হতো’, পার্থর বিপদ বাড়িয়ে এ বার কোর্টে বয়ান এক আত্মীয়র
    এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৫
  • নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও বিপাকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদালতে দাঁড়িয়ে এ বার পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যের দিকেই সবটা ঠেলে দিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আত্মীয় কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারী। জানা গিয়েছে, তিনি সম্পর্কে কল্যাণময়ের মামা হন। কৃষ্ণচন্দ্র আদালতে জানান, ভরসা করে কল্যাণময়ের কথাতেই সই করেছেন তিনি। ব্যাঙ্ক বা কোম্পানির বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। এ দিকে কল্যাণময় আগেই আদালতে জানিয়েছেন, শ্বশুর তাঁকে যা করতে বলেছিলেন, তিনি তাই করেছেন।

    প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময়ের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এই মামলার রাজসাক্ষী হয়েছেন তিনি। তখনই চর্চা শুরু হয়েছিল, এ বার কি পার্থর বিপদ বাড়তে পারে?

    এই নিয়ে তৃতীয় বার কৃষ্ণচন্দ্রর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। আদালতের নির্দেশে, মঙ্গলবারও বয়ান রেকর্ড করা হবে। সোমবার এজলাসে দাঁড়িয়ে কৃষ্ণচন্দ্র জানান, পিংলার বাবলি চট্টোপাধ্যায় মেমোরিয়াল স্কুলের কনস্ট্রাকশনের সুপারভাইজার এবং কয়েকটি কোম্পানির ডিরেক্টর করা হয় তাঁকে। কিন্তু সেই বিষয়ে টাকা বা ব্যাঙ্কের লেনদেন সম্পর্কে তিনি একেবারেই অবগত নন।

    আদালতে কৃষ্ণচন্দ্র বলেন, ‘কোম্পানিগুলির ডিরেক্টর থাকা সত্ত্বেও টাকা লেনদেনের হিসাব আমি জানতাম না। আমাকে সই করতে বলা হতো, পার্থর জামাই কল্যাণময়ের উপর ভরসা করে সই করেছি।’

    প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কল্যাণময় ভট্টাচার্য ও তাঁর অধীনে থাকা কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। তার বিচারও চলছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তিনি ‘বাবলি চ্যাটার্জি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’-এর অন্যতম মেম্বার ছিলেন বলে ইডির কাছে লিখিত বয়ান দেন কল্যাণময়।

    প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর তাঁদের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ কয়েক জনকে নিয়ে এই ট্রাস্ট তৈরি হয়েছিল। ইডির অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা ওই ট্রাস্ট এবং কল্যাণময়ের নানা সংস্থার মাধ্যমে সাদা করা হয়। তাই কল্যাণময় ও তাঁর নানা সংস্থার নামে চার্জশিটে অভিযোগ করা হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)