• বৃদ্ধের অনুদানে সরকারি হাসপাতালে শুরু হলো ‘মাইক্রোসার্জারি’
    এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৫
  • দিগন্ত মান্না, পাঁশকুড়া

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোনও সরকারি হাসপাতালে মাইক্রোসার্জারি হত না। নিজের জীবনের প্রায় সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দু'টি সরকারি হাসাপাতালে বহু মূল্যবান মাইক্রোসার্জারির মেশিন কিনে দেন তমলুকের অবসরপ্রাপ্ত এক ব্যাঙ্ক কর্মী। বৃদ্ধের কিনে দেওয়া মেশিনে জেলায় বিনামূল্যে মাইক্রোসার্জারি শুরু হয়েছে। খুশি স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। উপকৃত রোগীরা।

    তমলুকের নাড়াদাঁড়ি গ্রামের বাসিন্দা বছর ছিয়াত্তরের মোহিত মোহন মাইতি একসময় ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন। নিজের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে মাইক্রোসার্জারি মেশিন কেনার প্রস্তাব দেন তমলুকের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায়কে। তাঁর দেওয়া এক কোটি টাকায় দু’টি মাইক্রোসার্জারির মেশিন কেনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সেটি বসানো হয়েছে। সেই মেশিন দিয়ে গত ছ’মাসে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৫০ টি সফল মাইক্রোসার্জারি হয়েছে।

    কয়েকদিন হল এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও মাইক্রোসার্জারি শুরু হয়েছে। এর আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোনও সরকারি হাসপাতালে মাইক্রোসার্জারির ‘ল্যাপারোস্কোপিক’মেশিন ছিল না। তমলুকের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় বলেন, ‘জেলার দু’টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ইতিমধ্যে ওই মেশিন দিয়ে মাইক্রোসার্জারি শুরু হয়েছে। জেলার মানুষজন এখন বিনামূল্যে এই পরিষেবা পাচ্ছেন।’ মোহিত মোহন মাইতি বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্য দপ্তরকে কছু টাকা দিতে চেয়েছিলাম। ওঁরা আমার টাকায় মাইক্রোসার্জারির দু’টি মেশিন কিনেছেন। পরিষেবাও শুরু হয়েছে। আমি খুব খুশি।’

  • Link to this news (এই সময়)