• পুরসভার অনুষ্ঠানে কেউ আমন্ত্রিত নন কেন, বিতর্ক
    এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়, কোচবিহার: রবিবার সকালে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে মা ক্যান্টিনের রান্নাঘরের উদ্বোধন হলো। পুরসভার এই অনুষ্ঠান হাসপাতাল চত্বরে হলেও আশ্চর্যজনক ভাবে তাদের কোনও প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। দু'জন কাউন্সিলরাকে পাশে নিয়ে চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এই ক্যান্টিনের উদ্বোধন করেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এই অনুষ্ঠানে থাকার জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে। যে ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান হচ্ছে তারাই কেন ব্রাত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকে এর পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সমীকরণ রয়েছে বলে মনে করছেন।

    কোচবিহার এমজেএন হাসপাতাল চত্বরেই রয়েছে পুরসভার মা ক্যান্টিন। প্রতিদিন মাত্র পাঁচ টাকায় বহু মানুষ এখান থেকে খাবার সংগ্রহ করেন। তবে এতদিন এই ক্যান্টিনের নিজস্ব ঘর ছিল না। অস্থায়ী ভাবে তা চলত। এই ক্যান্টিনের রান্না বিবেকানন্দ স্ট্রিটে থাকা পুরসভার অন্য একটি ভবনে হতো। প্রায় ৪ কিলোমিটার দূর থেকে সেই খাবার প্রতিদিন হাসপাতালে নিয়ে এসে তা বিতরণ করা হতো। এই সমস্যা সমাধানে হাসপাতাল চত্বরে পুরসভা সাড়ে আট লক্ষ টাকা দিয়ে একটি দোতলা ভবন তৈরি করে। শিগগিরই সেখানে মা ক্যান্টিনের রান্না–সহ যাবতীয় কাজ শুরু হবে বলে পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

    রাজ্য নগর উন্নয়ন দপ্তরের বরাদ্দ অর্থে প্রকল্পটি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে তিনি বলেন, 'বহুদিনের সমস্যার সমাধান হলো।' যদিও অনুষ্ঠানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন নেই, এ প্রশ্নের জবাবে করলে তিনি বলেন, 'ওদের (হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ) বলা হয়নি। ওই জায়গাটা হাসপাতাল আমাদের দিয়ে দিয়েছে।' বিষয়টি নিয়ে এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি সৌরদীপ রায় বলেন, 'বাইরে রয়েছি। তাই বিষয়টি জানি না।'

    এদিন কোচবিহার পুরসভার দু'জন কাউন্সিলার মুস্তাক আহমেদ ও অভিজিৎ মজুমদারকে অনুষ্ঠানে দেখা যায়। কিন্তু অন্য কাউন্সিলারদের দেখা মেলেনি। কয়েকজন পুরকর্মী অবশ্য ছিলেন। তবে এ দিনের অনুষ্ঠান নিয়েও অনেকে রাজনীতির ছোঁয়া দেখতে পাচ্ছেন। এই মেডিক্যাল কলেজের কোনও অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে সে ভাবে দেখা যায় না। রোগী কল্যাণ সমিতিতেও তিনি নেই। এতদিন তাঁর ঘনিষ্ঠ পার্থপ্রতিম রায় (কাকা) রোগী কল্যাণ সমিতিতে ছিলেন। কিন্তু তাঁকে সরিয়ে ওই জায়গায় রবি–বিরোধী জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অভিজিৎ দে ভৌমিককে (হিপ্পি) বসানো হয়েছে। সেই কারণেই পুরসভার অনুষ্ঠানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ব্রাত্য রাখলেন চেয়ারম্যান বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান।

  • Link to this news (এই সময়)