আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার সময়ে দুর্ঘটনার কবলে হলদিয়া থানার পুলিশ কর্মী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর পরিবারের এক সদস্য। রবিবার গভীর রাতে দিঘা নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন হলদিয়া থানার এএসআই রবীন্দ্রনাথ বারি (৪৪) এবং মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের হোমিওপ্যাথির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সোমনাথ প্রামাণিক (২২)। চণ্ডীপুর থানার মগরাজপুরে ওভারব্রিজের উপর থেকে একটি চারচাকা গাড়ি নিয়ে নামছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটির সঙ্গে দিঘাগামী একটি মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ইতিমধ্যে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িগুলিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, হলদিয়া থানার এএসআই রবীন্দ্রনাথ বারির বাড়ি তমলুক থানার পায়রাচালি এলাকায়। রবিবার নরঘাটে তাঁর শ্বশুরবাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই রাতে খাওয়াদাওয়ার পরে এক আত্মীয়াকে নিজের গাড়িতে তুলে ইটাবেড়িয়ার তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেন। এ ছাড়াও তাঁর সঙ্গে ছিলেন সোমনাথ নামে অন্য এক আত্মীয়।
গাড়ি নিয়ে যখন রবীন্দ্রনাথ চণ্ডীপুর থেকে নরঘাটের দিকে ফিরছিলেন সেই সময়ে মগরাজপুর রেলওয়ে ওভারব্রিজের উপর থেকে তীব্র গতিতে নামার সময়ে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারান। অন্য দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে তাঁর গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এই দুর্ঘটনার জেরে রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর আত্মীয় গাড়ির মধ্যে আটকে যান। গাড়িটির একাংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। স্থানীয়রা দীর্ঘ চেষ্টার পরেও তাঁদের উদ্ধার করতে পারেননি। এর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে তাম্রলিপ্ত জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সোমনাথকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সোমবার সকালে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।