• ভাগাড় সরানো ও দ্রুত পুনর্বাসনের আশ্বাস ফিরহাদের, পাল্টা শুভেন্দু, ‘এতদিন কী হয়েছে?’
    এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৫
  • হাওড়ার বেলগাছিয়ার ভাগাড়ের অবস্থা কতটা বিপজ্জনক? সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে ওই জায়গার সমস্ত বর্জ্য সরিয়ে ফেলার আশ্বাস দিয়েছেন ফিরহাদ। যাঁদের বাড়ি ধসে গিয়েছে, তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যাপারেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পাল্টা বেলগাছিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের এই ভোগান্তির সম্পূর্ণ দায় রাজ্য সরকারের বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে এক জায়গায় ধস্তাধস্তিতে তাঁর আঘাত লেগেছে বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু।

    রবিবারই একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন হাওড়ার জেলাশাসক, হাওড়া পুর আধিকারিকরা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ধীরে ধীরে ওই এলাকার জঞ্জাল সরানো হবে। পাশাপাশি দ্রুত ‘সয়েল টেস্টিং’শুরু হবে। ‘বায়োমাইনিং’ পদ্ধতিতে কাজ করবে প্রশাসন। সোমবার সকালেই সেই কাজ খতিয়ে দেখতে যান ফিরহাদ হাকিম।

    ফিরহাদ বলেন, ‘এখানে পুরো অঞ্চলটাই ভাগাড়। এখানে কোনও মাটি নেই। মানুষ অবৈধভাবে বসতি গড়ে তুলেছিল। তাই খালি জমি চিহ্নিত করে, সেখানেই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকার গ্রাম বা শহরের জন্য কোনও বরাদ্দ দিচ্ছে না। তাই রাজ্য সরকার নিজেদের তহবিল থেকেই পুরো অর্থের ব্যবস্থা করছে।’

    মন্ত্রী জানান, এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২-৩ বছর সময় লাগবে। তবে বায়ো-মাইনিং পদ্ধতির মাধ্যমে দ্রুত ভাগাড় সরানোরকাজ চলবে। তাঁর বক্তব্য, ‘নগরোন্নয়ন দপ্তর এবং কেএমডিএ যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে — এখানে পোর্টেবল কম্প্যাক্টর বসানোর মতো জায়গা কোথায় পাওয়া যেতে পারে, সেই নিয়ে দ্রুত কর্মসূচি নেওয়া হবে। সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই। শহরের বিভিন্ন ফাঁকা জায়গা চিহ্নিত করে দ্রুত প্রসেসিং এবং পুনর্বাসন দুই-ই শুরু করতে হবে।’

    পুরমন্ত্রীর পরিদর্শনের কয়েক ঘণ্টা পরেই বেলগাছিয়া ভাগাড় এলাকায় যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকারকে দুষে শুভেন্দু বলেন, ‘বাম আমলে হাওড়া থেকে সমস্ত কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যা বাকি আছে এরা শেষ করে দিচ্ছে। মানুষের জন্য জল, বিদ্যুৎ-এর ব্যবস্থা করতে পারছে না।’ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দুপুরের খাবার, ত্রিপল ও পরিস্থিতি যতদিন না স্বাভাবিক হয়, ততদিন পর্যন্ত প্রতিটি পরিবারকে কুড়ি লিটার পানীয় জলের ব্যবস্থা বিজেপি করবে বলে আশ্বাস দেন বিরোধী দলনেতা।

  • Link to this news (এই সময়)