• চলছে গা ভিজিয়ে দেওয়া, দেওয়া হচ্ছে সরস ফল ও ওআরএস, পোষ্যদের যত্নে চিড়িয়াখানায় একাধিক পদক্ষেপ...
    আজকাল | ২৫ মার্চ ২০২৫
  • বিভাস ভট্টাচার্য: লাগানো হয়েছে স্প্রিঙ্কলার, জলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে ইলেক্ট্রোলাইট ও ওআরএস। দিনে অন্ততপক্ষে দু'বার ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে দেওয়া হচ্ছে শরীর। গরমে চিড়িয়াখানায় প্রাণীদের সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে একাধিক পদক্ষেপ রাজ্য চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। এই বিষয়ে রাজ্য চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিক বলেন, গরমের কথা মাথায় রেখে দিনে তিন থেকে চার ঘণ্টা বাদে বাদে জল এবং সেই জলে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে ইলেক্ট্রোলাইট এবং ওআরএস। এটা যেমন হরিণ, জিরাফ, জেব্রা বা অন্যান্য তৃণভোজী প্রাণীদের দেওয়া হচ্ছে সেইসঙ্গে পাখিদের ক্ষেত্রেও এই নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। পাখি বা এই প্রাণীরাও দেদার জল খাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি মাংসাশী প্রাণীদেরও দিনে একবার ঠান্ডা জলে ওআরএস গুলে দেওয়া হচ্ছে।

    কার্যত ঋতু পরিবর্তন সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবছরই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তরফে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় শীতকালে যেমন প্রাণীদের জন্য মেঝেতে কাঠের পাটাতন বিছিয়ে দেওয়ার সঙ্গে রুম হিটার চালিয়ে দেওয়া হয় তেমনি আলিপুর চিড়িয়াখানায় গরমে প্রয়োজনে লাগিয়ে দেওয়া হয় 'এয়ার কুলার' বা ফ্যান। গরমের কথা মাথায় রেখে তৃণভোজী প্রাণীদের খাবারের মেনুতে বেশি করে সংযুক্ত করা হয় সরস ফল। যা দেহের জলের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে। তবে গরমের তীব্রতা না বাড়ায় এখনও প্রাণীদের খাঁচায় বরফ দেওয়া শুরু হয়নি বলে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন। 

    ওই আধিকারিক বলেন, মে মাসের দিকে যখন গরম খুবই বেড়ে যায় তখন মাংসাশী প্রাণীদের খাবারের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়‌। মাংসাশী প্রাণীদের খাবার কিছুটা কমিয়ে স্যুপ জাতীয় খাবার বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আধিকারিক জানান, গরমে মাংসাশী প্রাণীদের পেটের একটু সমস্যা হয়। সেজন্যই মাংসের পরিমাণ কমিয়ে স্যুপ, হাড়ের গুঁড়ো দেওয়া হয়। যদিও এই প্রাণীদের গা ভিজিয়ে দেওয়ার কাজ চলছে।
  • Link to this news (আজকাল)