• কেশপুরে রাস্তার ধারে কাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ, কাঠগড়ায় পঞ্চায়েত প্রধান, কী বলছে বন দপ্তর?
    এই সময় | ২৫ মার্চ ২০২৫
  • তিন-চার দিন আগেই কেশপুরের সরিষাখোলা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে রাস্তার পাশের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ পাওয়ার পরই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। এ বার অভিযোগ উঠল ডেবরার ৫/১ অঞ্চলের ধামতোড় এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ডিএফও মণীশ যাদব এবং বিডিও প্রিয়ব্রত রাঢ়ি। 

    তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য পান্নালাল ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে রাস্তার পাশে থাকা ২৫-৩০টি ইউক্যালিপটাস এবং আকাশমণি গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন ডেবরার ৫/১ অঞ্চলের বা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা, বিজেপি-র গোপাল রাও। 

    অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য পান্নালাল ভুঁইয়া বলেন, ‘উনি আমাদের বিরোধী দলনেতা। স্বাভাবিকভাবেই মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমাদের এলাকায় ২০০ বছরের প্রাচীন শিব পুজো উপলক্ষে ১০-১৫ হাজার মানুষের নরনারায়ণ সেবা হয়। তাই, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে মৌখিকভাবে জানিয়ে, জ্বালানির জন্য ৫-৭টি শুকনো গাছ কেটেছিলাম। ৩০-৪০টি যা বলছেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।’

    ডেবরা ব্লকের ৫/১ অঞ্চলের ধামতোড় এলাকায় গ্রামীণ রাস্তার দুই পাশে আছে অসংখ্য ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ। অভিযোগ, বন দপ্তর-সহ ব্লক প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ধামতোড় এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য পান্নালাল ভুঁইয়া রাতের অন্ধকারে ২৫-৩০টি গাছ কেটে সেগুলি বিক্রি করে দিয়েছেন। 

    বিষয়টি নিয়ে খড়্গপুরের মহকুমা শাসক, খড়্গপুর ডিভিশনের ডেবরা রেঞ্জ এবং ডেবরার বিডিও-র কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় দাবি করে সোমবার বিজেপি-র তরফে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে পান্নালাল ভুঁইয়া বলেন, ‘গ্রামের পুজোর নরনারায়ণ সেবা'র জন্য প্রায় ১০০-১৫০ কুইন্টাল কাঠের প্রয়োজন হয়। পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে আমার কাছেও উদ্যোক্তারা কিছু কাঠের আবেদন জানিয়েছিলেন। আমি শুকনো এবং রাস্তার পাশে বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা ৫-৭টি গাছ কাটতে বলেছিলাম। শুকনো, মরা গাছে বলেই লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়নি!’

  • Link to this news (এই সময়)