পুলিশের জালে কৃষ্ণনগর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামী। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সরস্বতী পুজোয় বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ার মধ্যে অশান্তি বাধে। সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল কৃষ্ণনগর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুমিতা বিশ্বাস স্বামী নিতু হালদারের নাম। তদন্তে নেমে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করলেও নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না নিতুর। তবে তল্লাশি জারি রেখেছিল পুলিশ।
তদন্তকারীরা সম্প্রতি খবর পান, নিতু হালদারকে ঘূর্ণি বাজারের আশাপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। আর সেই খবর পেয়েই কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ সাদা পোশাকে গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার তাঁকে কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামী-সহ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্তরা এখনও পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। যদিও কাউন্সিলারের স্বামী নিতু হালদার দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। সরস্বতী পুজোর দিনে কোনও অশান্তির ঘটনায় তিনি জড়িত ছিলেন না। অন্যদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। বিজেপির নদিয়া উত্তর-এর প্রচার প্রমুখ সন্দীপ মজুমদার দাবি করেন, ‘বিসর্জনে তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামীর নেতৃত্বেই রক্তারক্তি হয়েছিল। ওঁর কঠোর শাস্তির দাবি করছি।’ পাল্টা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মলয় দত্ত বলেন,’ আমি অফিসে গিয়ে এই গ্রেপ্তারির বিষয়ে জেনেছি। তবে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা জানি না। এই বিষয়ে না জেনে কোনও মন্তব্য করব না।’