• হুইপ মানেনি কারা? খুঁজতে বৈঠকে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি
    এই সময় | ২৫ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়: বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের শেষ দু’দিন হুইপ উপেক্ষা করে গরহাজির থাকা দলীয় বিধায়কদের বিরুদ্ধে ঠিক কী পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, তা চূড়ান্ত করতে আগামী ২৯ মার্চ তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি বৈঠকে বসতে চলেছে। বিধানসভায় সোমবার এই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যতম সদস্য নির্মল ঘোষ আলোচনা করে এই দিন চূড়ান্ত করেছেন।

    তৃণমূলের পরিষদীয় দলের জন্য গঠিত এই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাসরা রয়েছেন। আগামী ২৯ তারিখে বৈঠকে এই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সমস্ত সদস্য উপস্থিত থাকবেন।

    গত সপ্তাহে শেষ হওয়া বাজেট অধিবেশনের শেষ দু’দিন, ১৯–২০ মার্চ, তৃণমূলের পরিষদীয় নেতৃত্ব হুইপ জারি করেছিলেন। কিন্তু ২০ তারিখের অধিবেশনে বড় সংখ্যায় বিধায়ক গরহাজির ছিলেন। বিধানসভায় তৃণমূলের মন্ত্রী–বিধায়কদের জন্য মোট তিনটি হাজিরা খাতা রয়েছে। গত ২০ তারিখ সেই খাতায় কাদের সই নেই, তা এখন তৃণমূলে পরিষদীয় নেতৃত্ব খতিয়ে দেখছেন। কারা সই করলেও অধিবেশন কক্ষে অল্প সময় ছিলেন, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    বিধানসভায় সোমবার শোভনদেব ও নির্মল এই বিষয়ে আলোচনা করেন। শোভনদেবের কথায়, ‘দলনেত্রীর নির্দেশে মুখ্য সচেতক হুইপ জারি করেছিলেন। এই হুইপে বলা হয়েছিল, ১৯–২০ তারিখ সব বিধায়ককে সর্বক্ষণ অধিবেশনে কক্ষে উপস্থিত থাকতে হবে। এই হুইপ যাঁরা অমান্য করেছেন, তাঁরা দলের শৃঙ্খলা–বিরোধী কাজ করেছেন। আমরা ইচ্ছা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে যে কোনও রকম ব্যবস্থা নিতে পারি। দলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলে আমরা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’

    যে বিধায়করা গরহাজির ছিলেন, তাঁদের কি ডেকে অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হবে? শোভনদেবের উত্তর, ‘যাঁরা ওই দিন আসেননি, তাঁদের ডেকে পাঠানোর চেষ্টা আমরা করব। তাঁদের ডেকে কথা বলব।’ বিধানসভায় দলের বিধায়কদের একাংশের নিয়মিত গরহাজিরা নিয়ে অতীতেও সেই বিধায়কদের সতর্ক করা হয়েছিল।

    কিন্তু সেই সতর্কবার্তায় বহু বিধায়ক যে গুরুত্ব দেননি, তা গত ২০ তারিখের গরহাজিরা থেকেই স্পষ্ট। শোভনদেবের কথায়, ‘আমাদের রাজ্যে মোটামুটি ৪০ দিন বিধানসভার অধিবেশন হয়। এই অল্প সময়েও যাঁরা অনুপস্থিত থাকেন, তাঁদের আগে সতর্ক করা হয়েছিল। কেন তাঁরা আসছেন না? জানতে চাওয়া হয়েছিল। এই সতর্কবার্তার পরে হাজিরা কিছুটা বেড়েছিল।’

  • Link to this news (এই সময়)