• স্বাস্থ্য সাথী: ভালো সার্ভিসে পুরস্কার হাসপাতালকে
    এই সময় | ২৫ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়: কোন হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথীতে কত ভালো ও কত বেশি রোগীকে পরিষেবা দিয়েছে গত তিন বছরে, তার উপর ভিত্তি করে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে পুরস্কৃত করবে ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন। ২০০–র বেশি বেড রয়েছে, এমন বড় ও মাঝারি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে সোমবার কমিশনের বৈঠকে এ কথা জানান কমিশনের চেয়ারম্যান, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই গত তিন বছরে স্বাস্থ্যসাথীতে কত রোগীকে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে, সব বেসরকারি হাসপাতালের থেকে তার তথ্য–পরিসংখ্যান তলব করল কমিশন।

    পাশাপাশি, প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালকে তাদের শয্যাসংখ্যার অন্তত ১০ শতাংশ বেড স্বাস্থ্যসাথীর জন্য বরাদ্দ করার পরামর্শ দেন চেয়ারম্যান। বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রায়ই নানা অভিযোগ ওঠে রোগী-পরিজনের তরফে। সেই সব অভিযোগের নিরসন করে শাস্তিমূলক পদক্ষেপও করে রেগুলেটরি কমিশন। কিন্তু তাদেরও কি নিজস্ব অভিযোগ রয়েছে কোনও বিষয়ে? এ বার তাই তাদের নিজস্ব অভাব–অভিযোগের খতিয়ানও শুনতে আগ্রহ দেখাল কমিশন।

    সেই কারণে রাজ্যের ৪৭টি বড় বেসরকারি হাসপাতালকে নিয়ে এ দিন নিউ টাউনের প্রিয়ংবদা বিড়লা নার্সিং কলেজের সভাঘরে বৈঠকে বসেন কমিশনের চেয়ারম্যান–সহ সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন ওই বেসরকারি হাসপাতালগুলির শীর্ষকর্তারা। সেখানেই স্বাস্থ্যসাথী প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। কমিশন ফের একবার এ ব্যাপারে তাদের ‘জ়িরো টলারেন্স’ নীতি স্পষ্ট করে দেয়।

    পাশাপাশি, কেন প্যাকেজ বহির্ভূত খরচ প্রায়ই বড় নার্সিংহোম ও বেসরকারি হাসপাতালে বেড়ে যাচ্ছে, কেনই বা ১ লক্ষ টাকার প্যাকেজ বিলে ৪.৫ লক্ষ টাকা হয়ে যাচ্ছে, সে প্রশ্নও তোলে কমিশন। হাসপাতালগুলিকে চিকিৎসা খরচ নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেয় কমিশন। ওষুধ, রোগ নির্ণায়ক পরীক্ষা–নিরীক্ষা, চিকিৎসা সরঞ্জামের খরচ যুক্তিযুক্ত ও ন্যয্য করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। হাসপাতালগুলির একাংশের তরফে কমিশনকে অনুরোধ করা হয় বিভিন্ন পরিষেবার ক্ষেত্রে যেন হাসপাতালের মান অনুযায়ী খরচের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেয় কমিশন। যদিও কমিশন সূত্রে খবর, সে কাজ চলছে, এ নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বোচ্চ স্তরে। ফের ৬ মাস পরে একই রকম বৈঠক হবে, জানায় কমিশন।

  • Link to this news (এই সময়)