• অক্সফোর্ডে মমতার ভাষণে উপস্থিত থাকবেন সৌরভও
    এই সময় | ২৫ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়: অক্সফোর্ডের কেলগ কলেজে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণের সময়ে সেখানে উপস্থিত থাকবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ২৭ মার্চ কেলগ কলেজে ‘বাংলার নারীর ক্ষমতায়ন ও সাফল্য’ বিষয়ে ভাষণ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই সময়েই লন্ডনে থাকার কথা রয়েছে সৌরভের। ব্যক্তিগত সফরে ‘দাদা’ লন্ডনে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের সময়ে সৌরভ সেখানে থাকবেন বলে সূত্রের খবর। লন্ডনে পৌঁছনোর পরে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি। ভারতীয় সময় রাত ১০টার পরে লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে যান মমতা। সেখানে তাঁর সফরসঙ্গী শিল্পপতিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি পরিবারের মতো। আমরা সবাই মিলে কাজ করি। ভারতের বৈশিষ্ট হলো বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য।’

    রাজ্যের পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কলকাতা এখন কর্মসংস্থানের গন্তব্যস্থল। আমাদের রাজ্য ছোট ও মাঝারি শিল্পের হাব। কলকাতা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স হাব। এ বারের বিজিবিএস (বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন) অত্যন্ত সফল হয়েছে। সেখানে ইউকে অন্যতম পার্টনার দেশ ছিল।’ বাংলার ছাত্রছাত্ররী অত্যন্ত মেধাবী এবং তাঁদের অনেকেই ব্রিটেনে পড়াশোনা করতে যান বলেও উপস্থিত ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের সামনে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    রাজ্যের শিক্ষার উচ্চ গুণমানের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে মমতা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট জে়ভিয়ার্স, প্রেসিডেন্সি কলেজেরও উল্লেখ করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষার হাব, মেডিক্যাল হাব হয়ে উঠেছে, স্কিল ইন্ড্রাস্ট্রিরও জায়গা বলে মন্তব্য করেন তিনি। মমতার কথায়, ‘এ টু জে়ড— সব কিছু পশ্চিমবঙ্গে পাওয়া যায়। শিল্পের জন্য আমরা সিনার্জি কমিটি তৈরি করেছি। এক জানলা নীতির পাশাপাশি আমরা যৌথ উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছি।’ দূতাবাসের অনুষ্ঠানে কলকাতা–লন্ডন ডিরেক্ট ফ্লাইট চালুর জন্যও ফের সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারতীয় হাইকমিশনকেও উদ্যোগী হতে অনুরোধ জানান।

    ভারতীয় দূতাবাসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সোমবার সকালে হোটেল থেকে হাঁটতে বেরোন মমতা। বাকিংহ্যাম প্যালেসের কাছে সেন্ট জেমস কোর্ট হোটেলে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই সফরসঙ্গী সরকারি আধিকারিক, শিল্পপতিদের সঙ্গে তিনি প্রাতর্ভ্রমণে বেরোন। তাঁর নিজের কথায়, ‘এটা মর্নিংওয়াক নয়। ওয়ার্ম আপ বলুন।’ বাকিংহ্যাম প্যালেসের পাশের রাস্তা দিয়ে মমতা লন্ডনের হাইড পার্কে যান। ২০১৫ সালে লন্ডন সফরের সময়ে রাজকীয় আমন্ত্রণে বাকিংহ্যাম প্যালেসে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন হাঁটতে হাঁটতে সেই অনুষ্ঠানের স্মৃতিচারণাও করেন তিনি। এক দশক আগের লন্ডন সফরের সময়ে হাইড পার্ক দেখেই মমতা নিউ টাউনে ইকো–পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন। সে কথাও শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। এ দিন ভারতীয় দূতাবাসের অনুষ্ঠানেও এই ইকোপার্কের কথা বলেছেন মমতা।

  • Link to this news (এই সময়)