• জমছে আবর্জনার পাহাড়, আতঙ্কে রয়েছে কালাপাহাড়ি
    এই সময় | ২৫ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়, আসানসোল: গত সপ্তাহে হাওড়ায় ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ধস নামার ভয়ঙ্কর স্মৃতি ফিকে হয়ে যায়নি। আসানসোলের কালিপাহাড়ির কাছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে সেই ঘটনার যদি পুনরাবৃত্তি হয়, তা হলে বোধহয় অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না! স্থানীয় বাসিন্দারা তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় ভুগলেও পুরসভার দাবি, নিয়মিত পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা নিয়মিত বিষয়টি নজরে রাখছেন।

    পুর এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ৪০০ টন আবর্জনা ফেলা হয় কালিপাহাড়ির কাছে জাতীয় সড়কের পাশে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। গত চার দশক ধরে এটাই চলছে। নিটফল আবর্জনার পাহাড়। ধারেকাছে লোকালয় না–থাকলেও কোনও কারণে ধস নামলে জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যাবে। আরও অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই কে বা কারা এসে সেখানে আগুন ধরিয়ে দিয়ে যায়! ফলে পরিবেশ হয়ে ওঠে দূষিত। বর্ষা এবং গরমকালে দুর্গন্ধে পথচলতি মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে।

    আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক এবং স্থানীয় পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে কাজ করা সমাজকর্মী চন্দ্রশেখর কুণ্ডুর বক্তব্য, ‘বিভিন্ন বাড়ি থেকে সংগৃহীত জৈব বর্জ্য এখানে ফেলা হচ্ছে, যা থেকে তৈরি হচ্ছে বিষাক্ত মিথেন গ্য্যাস। কোনও কারণে তা অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে ফাটল দেখা দিতে পারে বা আগুন লাগতে পারে। পুরসভাকে যদি নাগরিকদের সচেতন করে দেয় যে, তাঁরা য়েন কোনও ভাবেই কাটা আনাজের খোসা না–ফেলেন, তা হলে সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে।’

    প্রাক্তন মেয়র এবং বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলছেন, ‘আমি মেয়র থাকাকালীন এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করেছিলাম। পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা মুম্বইয়ে গিয়ে দেখে এসেছিলেন, কী ভাবে আবর্জনা সরানো হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয়, কাজ শুরু হলেও তা পুরসভার নিয়ন্ত্রণে নেই। স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সুডা) কাজটা দেখছে। যে হেতু সুডা–কে পুরসভা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তাই কিছু বলতেও পারছে না।’ আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটকের বক্তব্য, ‘ইঞ্জিনিয়াররা বিষয়টি দেখছেন। ধীরে ধীরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ছোট ছোট অংশ কেটে সরানো হচ্ছে।’

  • Link to this news (এই সময়)