• শীঘ্রই চালু হবে বিষ্ণুপুর-জয়রামবাটি রেলপথ, এলাকাবাসীর স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে
    এই সময় | ২৫ মার্চ ২০২৫
  • রেলের বড় উদ্যোগে এ বার এক সুতোয় জুড়তে চলেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর-জয়রামবাটি। তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে 'মাতৃমন্দিরে'র আদলে তৈরি হচ্ছে জয়রামবাটি স্টেশনের টিকিট কাউন্টার-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো। এ দিকে বড় গোপীনাথপুর স্টেশনের কাজও প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু কেন তৈরি হচ্ছে এই নতুন রেলপথ? রেল দপ্তর সূত্রে খবর, যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও মসৃণ করতে তৈরি হচ্ছে এই রেলপথ। এ ছাড়াও, এই রেলপথ নির্মাণের অন্যতম লক্ষ্য হল 'মন্দির নগরী' বিষ্ণুপুরের সাথে জনপ্রিয় শৈবক্ষেত্র তারকেশ্বরকে সংযুক্ত করা।

    তবে এই রেলপথ শেষ পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে জেনে খুশী জয়রামবাটির লোকজন। স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিৎ ঘোষ বলেন, ‘ সারদা মাকে কলকাতা যাওয়ার জন্য বিষ্ণুপুরে গিয়ে ট্রেনে উঠতো হতো। তবে এখন জয়রামবাটি থেকেই সেই সুযোগ মিলতে চলেছে। এ বার কলকাতা থেকে আগত পূণ্যার্থীদের পাশাপাশি এলাকার লোকজনও উপকৃত হবেন। জয়রামবাটির বালিন্দা হিসাবে আমরা খুব খুশি।’

    রেল যোগাযোগের কথা শুনে বেশ খুশি জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরের মহারাজ স্বামী শিবুরুপানন্দ। তিনি বলেন, ‘ষাট বছরের বেশী সময় ধরে এখানে আছি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে জয়রামবাটির উপর রেল পথ চালু হচ্ছে, খুব ভালো লাগছে। আমাদের জমিও এই প্রকল্পের মধ্যে পড়েছিল। তা আমরা হাসিমুখে সরকারের হাতে তুলে দিয়েছি। মাতৃমন্দিরে আসা পূণ্যার্থীদের এ বার শুধু সুবিধা হবে তাই নয়, এলাকার অর্থনৈতিক চিত্রটাও পাল্টে যাবে।’নল আছে, জল নেই! গরমে পানীয় জলের হাহাকার বাঁকুড়ার গ্রামে

    অন্য দিকে, গোপীনাথপুর এলাকার বাসিন্দা অনিমেষ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এ বার ভবাদিঘির সমস্যাও মিটেছে। যেভাবে দ্রুত গতিতে কাজ হচ্ছে, তাতে আমরা খুশী। গোপীনাথপুরেও যে একদিন ট্রেন চলবে তা কল্পনার অতীত ছিল। আমাদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ করছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার।’ সূত্রের খবর, বিষ্ণুপুর-জয়রামবাটি রেল চলাচল খুব শীঘ্রই চালু হবে। বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ও হিন্দিতেও স্টেশনের নাম লেখা হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)