এই সময়: মানিব্যাগ ফেরানোর নাম করে সোনাগাছির যৌনপল্লিতে এক যুবককে ডেকে সেখানকার একটি ঘরে কয়েক জন মহিলার সঙ্গে তাঁকে আটকে রেখে মোবাইল ফোনে ভিডিয়ো তোলা হয়েছিল। তার পর সেই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই যুবকের কাছ থেকে অনলাইনে ৫৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। টাকা নেওয়ার পর তাঁকে মারধর করা হয়েছে, এমনও অভিযোগ ওই যুবকের। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে রবিবার রাতে সন্তু হালদার নামে একজনকে অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে বড়তলা থানার পুলিশ। প্রতারণা করে হাতানো ৫৭ হাজার টাকার মধ্যে ২৪ হাজার টাকা গিয়েছে সন্তুর অ্যাকাউন্টে।
লালবাজার সূত্রের খবর, অভিযোগকারী যুবক সম্প্রতি চাঁদনি চক এলাকায় বৈদ্যুতিন সামগ্রী কিনতে গিয়েছিলেন। তখন তাঁর মানিব্যাগ খোয়া যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের অন্য প্রান্তে থাকা এক ব্যক্তি জানান, ওই যুবকের মানিব্যাগ রাস্তায় পড়ে গিয়েছে, সেটি ফেরত নিতে তাঁকে বড়তলা এলাকার একটি সিনেমা হলের সামনে আসতে হবে।
ওই যুবক সেখানে পৌঁছনো মাত্রই জবরদস্তি তাঁকে একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আগেই কয়েক জন মহিলা ছিলেন। তার পর ঘরের দরজা বন্ধ করে মোবাইল ফোনে ভিডিয়ো তোলা হয়। অভিযোগ, সোনাগাছিতে আসার বিষয়টি পরিবার এবং সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই যুবককে অনলাইনে ৫৭ হাজার টাকা পাঠাতে বাধ্য করে দুষ্কৃতীরা। টাকা নেওয়ার পর মারধর করে তাঁকে ঘর থেকে বার করে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, ধৃত সন্তুর পাশাপাশি চক্রে জড়িত বাকিদের খোঁজ চলছে। ওই ঘটনায় কয়েক জন যৌনকর্মীর যোগ থাকার বিষয়টিও তদন্তকারীরা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।