শুরু হয়েও পূর্ণাঙ্গ শুনানি হলো না ডিএ মামলার। আগামী ২২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে মামলাটির শুনানি হবে। অন্যদিকে, ১ এপ্রিল থেকে রাজ্য সরকারের ঘোষণা করা ৪ শতাংশ বর্ধিত ডিএ কার্যকর হতে চলেছে, জানিয়েছে নবান্ন।
কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আইনি লড়াই করছেন সরকারি কর্মচারীদের কয়েকটি সংগঠন। আপাতত এই মামলা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টে প্রথমবার ডিএ মামলা উঠেছিল। এ দিন বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের এজলাসে এই মামলা ওঠে। মামলাটি পিছিয়ে গেলেও আশার আলো দেখছেন মামলাকারী সংগঠনের নেতৃত্ব।
রাজ্য সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল ‘এই সময় অনলাইন’-কে বলেন, ‘মামলাটি সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে ইতিবাচক দিকে রয়েছে বলে আমি মনে করছি। আমরা মনে করছি মামলাটিতে অনেকটাই আমরা নৈতিকভাবে এগিয়ে রয়েছি। আপাতত আমরা আগামী শুনানির দিকে তাকিয়ে।’
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক দফায় রাজ্য সরকার সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি করেছে। গত বাজেটেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের চার শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ এপ্রিল থেকে সেই বর্ধিত ডিএ কার্যকর হতে চলেছে, মঙ্গলবার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল নবান্ন। ফলে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে ১৮ শতাংশ হলো। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে এই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএর তফাত এখনও ৩৫ শতাংশ।
রাজ্য সরকারের এই ঘোষণার পর তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘রাজ্যকে যখন প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করছে কেন্দ্র সেই পরিস্থিতিতেও প্রতি বছর ডিএ বৃদ্ধি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’