• গ্যাসের পাইপের খোঁড়াখুঁড়ি, ভাঙড়ে নষ্ট রাস্তা
    এই সময় | ২৫ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়, ভাঙড়: বহু আন্দোলনের ফসল ভাঙড়ের ৯১ নম্বর রোড। বছরের পর বছর বেহাল থাকার পরে ২০২০ সালে ভাঙড় ও হাড়োয়া রোডের আমূল সংস্কার হয়। লাউহাটি থেকে ঘটকপুকুর ব্রিজ পর্যন্ত ৬০ কোটি টাকা খরচ করে ১৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করে দিয়েছিলপূর্ত দপ্তর। অভিযোগ, গ্যাসের লাইন বসাতে গিয়ে রাস্তায় যে ভাবে খোঁড়াখুঁড়ি হচ্ছে, তাতে ফের বেহাল ৯১ নং রোড।

    খন্নেরপোলের বাসিন্দা শঙ্কর দাস বলেন, '৯১ নম্বর রোডের এক পাশ দিয়ে পিএনজির লাইন বসছে, অন্য পাশে পানীয় জলের জন্য জোড়া পাইপ লাইন বসাচ্ছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর। রাস্তার পাশে মাটি খুঁড়ে জলের পাইপ বসলেও গ্যাসের লাইন বসছে রাস্তা খুঁড়ে। রাস্তা ফেটে দোকান ও বাড়ির ক্ষতি হচ্ছে।' কাশীপুরের চিকিৎসক দিলীপ পালের বক্তব্য, 'রাস্তা খোঁড়া হলেও সেই গর্ত দ্রুত মেরামত করা বা ধুলো ভরা রাস্তায় জল দেওয়ার কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।'

    সূত্রের খবর, ছত্তিসগড় থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে এ রাজ্যে গ্যাস আসার কাজ শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগে। ছত্তিসগড় থেকে বিহার, ঝাড়খণ্ড হয়ে এ রাজ্যের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা হয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঢুকেছে এই লাইন। ভাঙড়ে পাইপ বসানোর জন্য বিজিসিএল চুক্তি করেছে হিন্দুস্থান পেট্রো কেমিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে। ৯১ নম্বর বাসরাস্তার ১২ ফুট নীচ দিয়ে টানেল বোরিং মেশিনের মাধ্যমে ১২ ইঞ্চি ব্যাস যুক্ত পাইপ লাউহাটি থেকে মঙ্গলপুর পর্যন্ত বসানো হয়েছে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্ত দপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ারের আক্ষেপ, 'টানেল বোরিং পদ্ধতিতে পাইপ বসানোর জন্য পাইপের ইন ও আউট হতে যতটুকু পিচ বা পেভার্স ব্লক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ওরা সেটুকু মেরামত করে দেবে বলেছে। অথচ গোটা রাস্তাই যে ভেঙেচুরে গিয়েছে, তার কিছু ব্যবস্থা হবে না।' ভাঙড়–২ ব্লকের বিডিও পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'জলের লাইন কিংবা গ্যাসের লাইন বসানোর জন্য পূর্ত দপ্তরের রাস্তা অথবা ব্যক্তিগত জায়গায় যা ক্ষয়ক্ষতি হবে, তা ওই এজেন্সিগুলি ঠিক করে দেবে বলে কথা দিয়েছে।'

  • Link to this news (এই সময়)