খড়্গপুর আইআইটির ডক্টরেটকে বেদম মারের অভিযোগ, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস...
আজকাল | ২৫ মার্চ ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্যাঙ্কের পাস বই হারিয়ে যাওয়ার কারণে ডোমকল থানায় অভিযোগপত্র জমা করতে গিয়েছিলেন খড়্গপুর আইআইটি থেকে ডক্টরেট করা এক যুবক। অভিযোগ উঠেছে, থানার সেকেন্ড অফিসার উজ্জ্বল বিশ্বাস সহ আরও কয়েকজন পুলিশ কর্মী বেধড়ক মারধর করেন ওই যুবককে। জানা গিয়েছে, পুলিশের সঙ্গে ‘তর্কাতর্কি’ করার কারণে ওই যুবককে মারধর করা হয়। আহত ওই যুবক ইতিমধ্যেই হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এসডিপিও ডোমকল শুভম বাজাজ বলেন, ‘গোটা ঘটনাটি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আমরা একটি বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছি।
কোনও অফিসার দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। জানা গিয়েছে, ডোমকল থানার অন্তর্গত রমনা-এতবারনগর এলাকার বাসিন্দা ইমন কল্যাণ নামে ওই যুবক এসডিপিও-কে করা তাঁর লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, তিনি খড়গপুর আইআইটি থেকে ডক্টরেট করেছেন। সেখানে পড়াশোনার জন্য তাঁকে খড়্গপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়েছিল। গত ২৩ মার্চ ওই ব্যাঙ্কের পাস বই হারিয়ে যাওয়ার কারণে তিনি ডোমকল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ‘কর্তব্যরত অফিসার আমাকে খড়্গপুরের ব্যাঙ্ক থেকে একটি স্ট্যাম্প মেরে আনতে বলেন।
ডোমকল থেকে খড়্গপুরে যাওয়ার অসুবিধার কথা আমি তাকে বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও ওই অফিসার আমার জিডি নিতে অস্বীকার করেন এবং অভিযোগ করেন আমি তার সঙ্গে ‘জোর গলায়’ কথা বলছি এবং ‘গুণ্ডামি’ করছি। হঠাৎই থানার মেজবাবু উজ্জ্বল বিশ্বাস তার সঙ্গে একটি ঘরে যেতে বলেন। সিসিটিভি ক্যামেরার আওতার বাইরে থাকা একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে আমার কাগজপত্রগুলো ফেলে দেন এবং লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকেন। আরও কয়েকজন অফিসার এসে আমাকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকেন। ফোন ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
লকআপের পাশে একটি জায়গায় বসিয়ে রাখা হয়’। জানা গিয়েছে, রাতের দিকে পুলিশ ওই যুবককে ছেড়ে দিলে তিনি বাড়িতে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে ডোমকল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই যুবকের শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জানা গিয়েছে, গোটা বিষয়টি ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার, এসডিপিও সহ সমস্ত শীর্ষ আধিকারিকদের জানানো হয়েছে।