পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরাসরি অক্সিজেন পৌঁছে যাবে সব ওয়ার্ডে, জেলা হাসপাতাল চুঁচুড়ায় বসল জীবনদায়ী অক্সিজেন প্ল্যান্ট
আজকাল | ২৬ মার্চ ২০২৫
মিল্টন সেন,হুগলি: এক নজরে মহাকাশযান মনে হতে পারে। হঠাৎ দেখলে মনে হতে পারে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষনা কেন্দ্র। উৎক্ষেপনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে মহাকাশ যান। তবে ভালভাবে লক্ষ্য করলে ভুল ভাঙবে। স্পষ্ট হবে ওটা আসলে বিশাল আকারের অক্সিজেন সিলিন্ডার। যে সিলিন্ডারে একসঙ্গে ১৩ হাজার লিটার তরল অক্সিজেন জমা থাকবে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে সূচনা হলো এই প্রকল্পের। এতদিন জেলা হাসপাতালে প্রয়োজন অনুযায়ী অক্সিজেন সিলিন্ডার আনা হতো। তবে অক্সিজেনের কোনও পাকাপাকি ব্যবস্থা ছিল না। এবার হুগলি জেলা হাসপাতাল চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে লিকুইড মেডিকেল অক্সিজেন বা এলএমও প্ল্যান্ট বসানো হল।
এরপর থেকে জাম্বো সিলিন্ডার থেকে সরাসরি পাইপ লাইনের মাধ্যমে ওয়ার্ডে অক্সিজেন সরবরাহ হবে। ফলে বছরে অক্সিজেন বাবদ চার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে স্বাস্থ্য দপ্তরের। এই প্রসঙ্গে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক ডাঃ মৃগাঙ্ক মৌলি কর জানিয়েছেন, ‘জেলা হাসপাতালে অক্সিজেনের চাহিদার কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য দপ্তরে আবেদন করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। তরল অক্সিজেন ট্যাঙ্কারে করে ভরে দিয়ে যাওয়া হবে। মজুত অক্সিজেন ব্যবহার করে হাসপাতাল দশ দিন চলবে। শেষ হওয়ার আগে আবার রিফিল করা হবে। গাড়ি করে ছোটো সিলিন্ডারে অক্সিজেন ভরে আনায় অনেক ঝক্কি ছিল, তা আর হবে না। যে কর্মীরা এতদিন অক্সিজেন সরবরাহের দায়িত্বে ছিলেন তাদের আর ২৪ ঘন্টা সতর্ক থাকতে হবে না।
হাসপাতালের সর্বত্র পাইপ লাইনের কাজ করা রয়েছে। ফলে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরাসরি অক্সিজেন পৌঁছে যাবে আইসিইউ, ওটি, সহ সমস্ত ওয়ার্ডে। একেবারে রোগীর বেড পর্যন্ত পৌঁছে যাবে অক্সিজেন। ফলে এককালীন হয়ত কিছু টাকা খরচ হল, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী সুবিধা হল। যে সংস্থা এই কাজ করেছে তারাই দেখভাল করবে। ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে সাড়ে ছ’ শো বেড রয়েছে। আগামী দিনে আরও বাড়বে শয্যা সংখ্যা।‘ তিনি আরও বলেন, বছরে দশ কোটি টাকা খরচ হত অক্সিজেনের জন্য। এখন তা থেকে প্রায় চার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।