সোমবার রাতে ভয়াবহ চুরির ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের কুশবসানের গৈতা হাইস্কুলে। নারায়ণগড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমলেশ রাউৎ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে পাশের গ্রামে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে জোরে জোরে বাজছিল মাইক। আর সেই সুযোগে গৈতা হাইস্কুলের ১৭টি আলমারি, ২৪টি লকার ভেঙে তছনছ করে দুষ্কৃতীরা। টাকাপয়সা-সহ সিসিটিভি-র দু’টি হার্ডডিস্কও নিয়ে পালিয়ে যায় তাঁরা। সাত সকালে হোস্টেলের ছাত্রদের নজরে আসতেই তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় ইনচার্জকে। খবর দেওয়া হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে। খবর যায় নারায়ণগড় থানায়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমলেশ রাউৎ স্কুলে পৌঁছে দেখেন, ১৭টি আলমারি ভাঙা, ভাঙা হয়েছে শিক্ষকদের ২৪টি লকার বা ড্রয়ার, অফিস ঘরের চারটি দরজার তালাও ভাঙা। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন কাগজপত্র। সেই সঙ্গে CCTV-র হার্ডডিক্সও নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। একেবারে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি। স্কুলের নিত্যখরচ চালানোর জন্য বেশ কিছু টাকা রাখা ছিল। সেটাও নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। স্কুল চত্বরে ৩২টি সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল। হার্ডডিস্ক না থাকায় CCTV ক্যামেরা ফুটেজ মেলারও উপায় নেই।
স্কুলের শিক্ষক জ্যোতির্ময় দাস বলেন, ‘চোরেরা যে এ ভাবে স্কুলকে লণ্ডভণ্ড করতে পারে তা ভাবিনি। স্টাফ রুম ও প্রধান শিক্ষকের রুমে প্রায় ১৭টি আলমারির তালা ভেঙেছে। যাবতীয় কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে একাকার করেছে। ভেবেছিল হয়তো আলমারিতে টাকা থাকতে পারে। তাই এমন কাণ্ড করেছে। বাদ পড়েনি শিক্ষকদের ড্রয়ারও।’
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমলেশ রাউৎ বলেন, ‘স্কুলের কাজের জন্য কিছু টাকা তোলা হয়েছিল। বেশিরভাগ টাকা পেমেন্ট হয়ে গিয়েছে। ১০ হাজার টাকা মতো ছিল। তা চুরি গিয়েছে। চোরেরা ভেবেছিল স্কুলে অনেক টাকা পাবে তাই তছনছ করেছে।’
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটা দু’একজনের কাজ নয়। এর সঙ্গে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী জড়িত থাকতে পারে। যারা অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা করেই পাশের গ্রামের অনুষ্ঠানের রাতেই চুরি করতে এসেছিল। আর, একাধিক ব্যক্তি না থাকলে এতগুলি আলমারি ও ড্রয়ারের তালা ভাঙা সম্ভব নয়। তবে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানা গিয়েছে।