• ‘জনকল্যাণ বাদ দিয়ে রাজনীতি কী ভাবে!’ বাড়তি করের বোঝা না-চাপিয়ে উন্নয়ন চান অভিষেক
    এই সময় | ২৬ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়, নয়াদিল্লি: ভোটের ময়দানে রাজনৈতিক দলগুলির ভূরি ভূরি প্রতিশ্রুতি এবং দান-খয়রাতি নিয়ে একাধিক বার প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই দান-খয়রাতি করতে গিয়ে রাজকোষের উপরে মারাত্মক চাপ তৈরি হচ্ছে, যার জেরে আখেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গোটা দেশের অর্থনীতি— এই অভিযোগ তুলে দেশের শীর্ষ কোর্টেও দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা।

    ভোটের ঠিক আগে বিনামূল্যে রেশন ও জনতার হাতে টাকা দেওয়ার খয়রাতি প্রসঙ্গে ক’দিন আগে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গভাই নিজের পর্যবেক্ষণে জানান, এই কারণেই লোকজন কাজ করতে চায় না। এই মানুষদের বিনামূল্যে রেশন না-দিয়ে সমাজের মূল স্রোতের অংশ করা হলে তারা দেশের সার্বিক বিকাশের কাজে লাগতে পারবে।

    সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণের পরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে দান-খয়রাতির রাজনীতি নিয়ে। রাজনৈতিক দলগুলি এই পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান কী ভাবে চিহ্নিত করছে? সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ খুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    তাঁর ব্যাখ্যা, ‘রাজনীতির মূলে আছে জনকল্যাণ। জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি বাদ দিয়ে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। এই জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি প্রণয়ন করতেই হবে সরকারকে। জনতার ভোটে নির্বাচিত সরকারকে চেষ্টা করতেই হবে জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি প্রণয়নকে সহজ করার জন্য সম্পদ তৈরির। জনতার উপরে করের বোঝা না-চাপিয়েই এই সম্পদ সৃষ্টির চেষ্টা করতে হবে। এমনিতেই করের বোঝায় মারাত্মক চাপে আছে সাধারণ মানুষ। জিএসটি দেশের সাধারণ মানুষের কাছে বিরাট বোঝা হয়ে গিয়েছে।’

    অভিষেকের কথাতেই স্পষ্ট, রাজকোষের উপরে অতিরিক্ত চাপ তৈরি না-করেই জনকল্যাণমুখী রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রণয়নের পক্ষে তিনি৷ তাত্‍পর্যপূর্ণ হলো, উন্নয়নমুখী কর্মসূচির উদাহরণ দিতে গিয়ে উত্তরবঙ্গে রাজ্য সরকারের তরফে গৃহীত এক ঝাঁক উন্নয়ন প্রকল্পের কথাও জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    তাঁর কথায়, ‘উত্তরবঙ্গে প্রচুর উন্নয়নের কাজ চলছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে জমির পাট্টা, বাড়ি দেওয়ার কাজ চলছে জোরকদমে।’ এই প্রসঙ্গেই মোদী সরকারকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘বাড়ি তৈরির টাকা কে দিচ্ছে, সেটা লোকের কাছে জানানো দরকার। বাংলার সঙ্গে কে বা কারা বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে, প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে, সেটা জানাতে হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)