• জামাইয়ের মামার বয়ানে কি আরও ফাঁপরে পার্থ?
    এই সময় | ২৬ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়: নিয়োগ দুর্নীতি ইডির মামলায় কি আরও বিপাকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়! মঙ্গলবার, ইডির সাক্ষ্যগ্রহণে বিস্ফোরক বয়ান পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যের মামা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারীর। তিনি দাবি করেন, কল্যাণময় কোম্পানির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সামলাতেন।

    কৃষ্ণচন্দ্র আদালতে আরও দাবি করেন, কল্যাণময় বলেছিলেন, শ্বশুর পার্থ তাঁকে টাকা দেন। এমনকী ‘বাবলি চ্যাটার্জি মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশানাল’ নামে স্কুলটিও খুলতে চান পার্থ। সেই প্রেক্ষিতে যদিও পার্থর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামীর প্রশ্ন, এ কথা তিনি ইডিকে আগে বলেননি, এখন আদালতে বলছেন। উত্তরে কৃষ্ণচন্দ্রের দাবি, তিনি সবটাই জানিয়েছিলেন।

    পার্থর জামাই কল্যাণময় আগেই রাজসাক্ষী হয়ে জানিয়েছিলেন, পার্থর নির্দেশ মতো মামা কৃষ্ণচন্দ্রকে দিয়ে কাজ করানো হতো। রাজসাক্ষী হওয়ায় ইডি অভিযুক্ত হিসাবে কল্যাণময়ের নাম বাদ দিয়েছে। তাই আইনজীবীদের একাংশের মত, প্রাক্তন মন্ত্রী আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন!

    নগর দায়রা আদালত ভবনে ইডির বিশেষ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের সময়ে মঙ্গলবার পার্থর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামীর দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো একটি সংস্থার প্রাথমিক কাজের জন্য যে দশ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল, তার মধ্যে পাঁচ লক্ষ টাকা দেন কল্যাণময়, বাকি পাঁচ লক্ষ টাকা কৃষ্ণচন্দ্র দিয়েছিলেন।

    কারণ ২০২২–এর ২৬ সেপ্টেম্বর কল্যাণময় ইডির কাছে সেই রকম বয়ান দিয়েছিলেন। যদিও কৃষ্ণচন্দ্র আদালতে বলেন, ‘ওই পাঁচ লক্ষ আমার নামে দেখানো হয়েছিল। আদতে সেই টাকা কল্যাণময়েরই। এই বিষয়ে কল্যাণময় ইডিকে কী জানিয়েছেন, তা আমি জানি না’।

    আইনজীবী পাল্টা প্রশ্ন করেন, একটি সংস্থার অডিটে দেখা যাচ্ছে ২০১৭–১৮ সালে কৃষ্ণচন্দ্র ওই সংস্থাকে এক লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সে ব্যাপারে কৃষ্ণচন্দ্র বলেন, ‘সংস্থার অ্যাকাউন্টগুলি কল্যাণময় নিয়ন্ত্রণ করতেন। ধারের বিষয়ে আমার মনে পড়ছে না।’

    কৃষ্ণচন্দ্রের দাবি, কল্যাণময় তাঁকে জানিয়েছিলেন, পার্থ তাঁর স্ত্রী বাবলি চ্যাটার্জির নামে একটি স্কুল খুলতে চান। সে কথা তিনি ইডিকে জানিয়েছিলেন বলেও আদালতে দাবি করেন কৃষ্ণচন্দ্র।

  • Link to this news (এই সময়)