সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: সুন্দরবন এবং পুরুলিয়ার পর বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে পড়ুয়াদের নিয়ে দু’দিনের প্রকৃতিপাঠের ক্যাম্প করল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। এজন্য বক্সার জয়ন্তী রেঞ্জের পাশে তাঁবু ফেলেছিল তারা। সেখানে সোমবার এবং মঙ্গলবার ক্যাম্প বসে। এই দু’দিনে জঙ্গল ট্রেনিং, গাছ ও পাখি চেনা শিখল ১০টি স্কুলের ১০০পড়ুয়া। এরমধ্যে আলিপুরদুয়ার জেলার আটটি এবং কোচবিহার জেলার দু’টি স্কুলের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা ওই প্রকৃতিপাঠ শিবিরে যোগ দেয়।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দু’দিনের এই জঙ্গল ক্যাম্পের সফল আয়োজনের পিছনে ছিল আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাব। ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র। শিবিরে পড়ুয়াদের জন্য ওয়ার্কশপ ও মডেল প্রদর্শনী করা হয়। মানুষের জীবনে ও জীবনশৈলিতে পরিবেশের প্রভাব নিয়ে পাঠ দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। পরিবেশকে কিভাবে স্বাভাবিক রাখা যায়, তা নিয়েও পড়ুয়াদের পাঠ দেওয়া হয়।
নেতাজি বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের শিক্ষক তথা আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের সম্পাদক ত্রিদিবেশ তালুকদার বলেন, ৬০বছর ধরে বক্সার জঙ্গলে নেচার স্টাডি ক্যাম্প হচ্ছে। কিন্তু সরকারিভাবে বক্সার জঙ্গলে এই প্রথম নেচার ক্যাম্প হল। এই ক্যাম্প আয়োজনের দায়িত্ব পেয়ে আমরা অভিভূত। দু’দিনের এই ক্যাম্পে ছাত্র ছাত্রীরা অনেক কিছু শিখেছে।
এদিকে, দু’দিনের এই প্রকৃতিপাঠ শিবির শেষে প্রত্যেক পড়ুয়া ও তাঁদের স্কুলগুলিকে একটি করে ফলের চারা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ফলের চারাগুলির দিকে নজর রাখবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। দু’বছর পর যাঁদের চারা গাছ সুন্দর সবল হয়ে উঠবে তাঁদের কলকাতায় ডেকে নিয়ে গিয়ে সংবর্ধনা দেবে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেন, পর্ষদের এই মিশন লাইফ একটি চলমান কর্মসূচি। আগামীদিনেও এই কর্মসূচি হবে। বিশ্বজুড়ে পরিবেশের সঙ্কট চলছে। পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্যের ভারসাম্য রাখা নিয়ে পড়ুয়াদের অবহিত করা হচ্ছে। পরিবেশ নিয়ে পড়ুয়াদের সাতটি লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে কাজ করতে হবে। নিজস্ব চিত্র।