পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী, কালনার বাঘনাপাড়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি এ বার নদিয়ার হাঁসখালিতে। স্কুলের শিশু পড়ুয়াদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষককে রাস্তায় পেয়ে গণধোলাই দেন এলাকার লোকজন।
এলাকারই বাসিন্দা ওই শিক্ষক দীর্ঘ দিন ধরেই স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে পড়ান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যালয়ের বাচ্চা মেয়েদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন তিনি। নোংরা আচরণ করেন বাচ্চা মেয়েদের সঙ্গে। কয়েক দিন ধরেই এই খবর সামনে আসছিল।
স্কুলেও জানান অভিভাবকরা। এ নিয়ে আলোচনাও হয় স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে এলাকায় খবর ছড়ায়, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতে চলেছেন অভিভাবকরা। অভিযোগ, ভয় পেয়ে ওই শিক্ষক এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন। বাড়ি থেকে পালানোর সময় বগুলা বাসস্ট্যান্ডে ধরা পড়ে যান।
অভিযুক্ত শিক্ষককে গণধোলাই দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বলেন, ‘বাচ্চাগুলো তো বয়সে আপনার নাতনির মতো। কেন করেন এই নোংরামি?’ বগুলার পুলিশ ফাঁড়িতেও খবর যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে বগুলা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে পৌঁছয় হাঁসখালি থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, এখনও ওই শিক্ষকের নামে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
এর আগে কালনা বাঘনাপাড়ায় স্কুলের এক ক্লার্কের বিরুদ্ধে অশালীন ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিল ছাত্রীরা। এই অভিযোগকে সামনে রেখে মঙ্গলবার অশান্তি ছড়ায় স্কুলচত্বরে। তার আগে পূর্বস্থলীতেও গ্রেপ্তার হন দুই শিক্ষক। অভিযোগ, ওই শিক্ষকরা মোবাইলে অশ্লীল মেসেজ পাঠাতেন ছাত্রীদের, নোংরা ইঙ্গিত করে কথা বলতেন, এমনকী গায়ে হাত দিতেন। এই ধরনের ঘটনা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, স্কুলেও কি মেয়েদের কোনও নিরাপত্তা থাকবে না?