• সর্ষের মধ্যেই ভূত, ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট ধরতে নেমে স্ক্যানারে দুই BCWO-ইন্সপেক্টর
    এই সময় | ২৬ মার্চ ২০২৫
  • ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বা কাস্ট সার্টিফিকেট নিয়ে এ বার শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য। সূত্রের খবর, খড়্গপুর ও ব্যারাকপুরের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার দুই কর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তর। তাঁরা ব্লক স্তরের আধিকারিক। শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্তও। উল্লেখ্য, ব্লকে BCWO (ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার অফিসার) শংসাপত্র ইস্যু সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করেন। মহকুমা, জেলা স্তরেও এমন অফিসার থাকে।

    সূত্রের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র তৈরির পিছনে এই দুই আধিকারিকের যোগ থাকার প্রমাণ মিলেছে। খড়্গপুর ও ব্যারাকপুরের, এই জায়গার অনগ্রসর শ্রেণি বিভাগেরই ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার দুই অফিসারকে কারণ দর্শানোর নোটিসও ধরানো হয়েছে।

    নবান্নের নির্দেশ, এসডিওদের দিয়ে এ বার থেকে জাতিগত শংসাপত্র যাচাই করতে হবে। সেখানে কোনও রকম বেআইনি কিছু ধরা পড়লে, নিচুতলার ভারপ্রাপ্ত অফিসাররা এর সঙ্গে জড়িত কি না তাও খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ, তাঁরা যে প্রাথমিক রিপোর্ট দেন, শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে তা অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ। তাই এখানে দপ্তরের কোনও পদাধিকারী জড়িত থাকলেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া নেবে নবান্ন।

    উল্লেখ্য, জাতিগত শংসাপত্র বা কাস্ট সার্টিফিকেটের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল বার বার। পিএইচডি, এমএ-এর মতো ডিগ্রি প্রাপক ৪৫ জনের জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরকে যাচাই করার জন্য পাঠিয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

    এর আগে স্কুল সার্ভিস কমিশনও পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া কর্মরত বেশ কয়েকজন শিক্ষকের জাতিগত শংসাপত্র যাচাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পাঠায়। এমনকী প্রাথমিক শিক্ষা সংসদও মালদার বেশ কয়েক জন শিক্ষকের জাতিগত শংসাপত্র যাচাইয়ের নির্দেশ দেয়। সেই শিক্ষকরা ২০১৭ সাল থেকে চাকরি করছেন।

    রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নজরে আনে। আর তার তদন্ত করতে গিয়েই কিছু আধিকারিকের যোগ পায় দপ্তর। সংশ্লিষ্ট জেলার এসডিওদের এই জাতিগত শংসাপত্র যাচাই করে দ্রুত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)