• শিয়ালদা স্টেশন থেকে নিরাপদে মেট্রো স্টেশন পৌঁছে দেবে ঝাঁ চকচকে নয়া সাবওয়ে!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ মার্চ ২০২৫
  • একদিকে কলকাতা শহর ও শহরতলির লোকাল ট্রেন এবং অন্যদিকে সারা ভারত থেকে যাতায়াত করা অসংখ্য দূরপাল্লার ট্রেন - এই দু'টি মিলিয়েই যাত্রীসংখ্যা কয়েক লক্ষ। আর, এবার তার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে - ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নয়া স্টেশন! এর ফলে শিয়ালদা স্টেশন চত্বরে একধাক্কায় যাত্রীর চাপ বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ। যার জেরে প্রতিদিনই প্রায় ২৫ লক্ষ যাত্রীকে পরিষেবা দিচ্ছে এই চত্বর। তার উপর, প্রবল মানুষের ভিড়ের মধ্যেই আসা-যাওয়া করছে অসংখ্য দু'চাকা ও চারচাকার গাড়ি। সব মিলিয়ে যেন একটা চূড়ান্ত 'তালগোল' পাকানো অবস্থা!

    এই অবস্থায় যাত্রী সাধারণকে কিছুটা স্বস্তি ও সুবিধা দিতে শিয়ালদা স্টেশনে আরও একটি সাবওয়ে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যার মাধ্যমে শিয়ালদা স্টেশন সরাসরি জুড়ে যাবে শিয়ালদা আদালত চত্বর, বি আর সিং হাসপাতাল চত্বর এবং নিকটবর্তী নবগঠিত মেট্রো রেলস্টেশনের সঙ্গে।

    সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এই নয়া ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে রোজের যাত্রীদের প্রবল চাপ অনেকটাই ভাগাভাগি হয়ে যাবে। যাত্রীদের আর চরম ব্যস্ত কনকোর্স এলাকা অতিক্রম করতে হবে না। তাঁরা সাবওয়ে দিয়েই নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা পারাপারও বন্ধ হবে। এবং তার জেরে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও অনেকাই কমবে। কমবে এই চত্বরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাতায়াতের সময়ও।

    সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই সাবওয়ে বা ভূগর্ভস্থ পথ নির্মাণের সময় সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি বিশেষভাবে সক্ষম মানুষের কথাও ভাবা হয়েছে। মূলত, তাঁদের সুবিধার্থেই এখানে ব়্যাম্প থাকছে। তাছাড়া, যাত্রীরা যাতে সাবওয়ের ভিতরে ঢুকে রাস্তা গুলিয়ে না ফেলেন, তার জন্য পথনির্দেশকও থাকবে। সেইসঙ্গে থাকবে বায়ু চলাচলের আধুনিক ব্যবস্থাপনা।

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দ দেউস্কর এই সাবওয়ে নির্মাণের কাজ পরিদর্শন করে যান। তাঁর নির্দেশ, যত দ্রুত সম্ভব এই কাজ শেষ করতে হবে।

    তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই নয়া সাবওয়ে চালু হলে তা সরাসরি শিয়ালদা স্টেশনের সঙ্গে মেট্রোর গ্রিন করিডরকে জুড়ে দেবে। যা হাওড়ার সঙ্গে শিয়ালদাকে যুক্ত করেছে। এছাড়াও, সামগ্রিকভাবে শিয়ালদা স্টেশন চত্বর এবং সংলগ্ন এলাকায় নয়া পরিকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নের কাজ যেভাবে এগোচ্ছে তা দেখেও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মিলিন্দ দেউস্কর।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)