অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘স্পেশাল ২৬’ সিনেমার কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। ইনকাম ট্যাক্স অফিসার সেজে বিভিন্ন শহরে প্রভাবশালী লোকদের বাড়ি থেকে লুটপাট চালাত ওই গ্যাং। সেরকমই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল বিধাননগর। ইনকাম ট্যাক্স আধিকারিক সেজে চিনার পার্কে প্রোমোটারের বাড়িতে লুটপাটের অভিযোগ। গ্রেপ্তার এক CISF ইন্সপেক্টর, এক মহিলা কনস্টেবল-সহ সাত জন। এই ঘটনার পিছনে আরও বড় কোনও মাথা জড়িত কি না সে ব্যাপরে তদন্ত চালাচ্ছে বিধানননগর পুলিশ কমিশনারেট।
পুলিশ সূত্রে খবর, চিনার পার্কের একটি আবাসনে স্ত্রী ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে থাকতেন আরপি সিং নামে এক ব্য়ক্তি। গত ১৮ তারিখ রাত দুটোর সময় ইনকাম ট্যাক্স অফিসারদের সেজে উপস্থিত হয় ওই প্রোমোটারের বাড়িতে হাজির হন সাত জন। আয়কর বিভাগের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে ঘরেই ঢুকেই পরিবারের সকল সদস্যদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় ওই গ্যাং। অভিযোগ, একের পর এক ঘরে ঢুকে নগদ ৩ লক্ষ টাকা ও কুড়ি ভরি সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যায় ওই গ্যাং। একটি কাগজে সই করিয়ে নেয় ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা।
বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় বাগুইআটি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয় ওই পরিবারের তরফে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ প্রথমে অপরাধে ব্যবহৃত গাড়ির ড্রাইভার দীপক রানাকে আটক করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে।
সিআইএসএফের ইন্সপেক্টর, ফারাক্কা ব্যারেজের অমিত কুমার সিং, সিআইএসএফের লেডি কনস্টেবল লক্ষ্মী কুমারী, কনস্টেবল বিমল থাপা, হেড কনস্টেবল রামু সরোজ এবং কনস্টেবল জানার্দন শাকে গ্রেপ্তার করে বাগুইআটি থানা তদন্তকারী আধিকারিকরা। এর মধ্যে সিআইএসএফের লেডি কনস্টেবল লক্ষ্মী কুমারী আরজি কর হাসপাতালের সুরক্ষার দায়িত্বে ছিলেন বলে খবর।
বিধাননগর ডিসি (এয়ারপোর্ট) ঐশ্বরিয়া সাগর জানান, এই গ্যাংয়ের এক সদস্যের সঙ্গে ওই পরিবারের এক সদস্যের পূর্ব পরিচিতি ছিল। তিনি বলেন, ‘এই লুটের ঘটনায় পরিবারের লিঙ্ক মিলেছে তা নিশ্চিত। এই ঘটনায় আরও দু’জনের খোঁজ চলছে। তাঁদের খোঁজে বাগুইআটি থানার তদন্তকারী আধিকারিকেরা দিল্লিতে গিয়েছেন।’
তথ্য সহায়তা: শ্যামগোপাল রায়, সৌমেন রায় চৌধুরী