• আবাসের টাকা ঢুকলেও জায়গা নিয়ে সমস্যায় ৬
    এই সময় | ২৬ মার্চ ২০২৫
  • সমীর মণ্ডল ■ মেদিনীপুর

    বাংলা আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢুকেছে অ্যাকাউন্টে। কিন্তু নিজস্ব কোনও জায়গা না থাকায় বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করতে পারেননি তাঁরা। এমনই অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রসিয়াড়ি গ্রামের ছয় আদিবাসী উপভোক্তার। তাঁরা বন দপ্তরের জায়গায় বাস করেন। যে সরকারি জায়গায় তাঁরা থাকেন, সেই জায়গার কোনও পাট্টা নেই। জায়গার জন্য সরকারি দপ্তরে একাধিক বার দরবার করেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে জানান উপভোক্তারা। এ দিকে, যে টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে, তা যাতে তাঁরা অন্য খাতে খরচ করে না দেন, তাই সেই টাকা হোল্ড করে রাখা হয়েছে। এর অর্থ, চাইলেও এখন ওই টাকা তাঁরা অ্যাকাউন্ট থেকে তুলতে পারবেন না।

    বিষয়টি স্বীকার করে চন্দ্রকোণা ২-এর বিডিও উৎপল পাইক বলেন, 'ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রসিয়াড়ি গ্রামে ১১টি পরিবার বন দপ্তরের জায়গায় বসবাস করে। ওই ৬ জন উপভোক্তার টাকা হোল্ড করে রাখা হয়েছে। জমির পাট্টা যাতে তাঁরা দ্রুত পান তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।' ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ-সহ অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। কী ভাবে পরিবারগুলিকে পাট্টা দেওয়া যায়, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।'

    জানা গিয়েছে, জঙ্গলের পাশে মাটির বাড়ি তৈরি করে বছরের পর বছর ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাস করছেন ওই ১১টি পরিবারের সদস্যেরা। বাড়ি পাওয়ার উপযুক্ত দেখেই তাঁদের বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁদের নিজেদের নামে যে কোনও জায়গা নেই, তা জানা ছিল না স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতদের প্রতিনিধিদেরও। বাড়ির অনুমোদনের পাশাপাশি মিলেছে টাকাও।

    উপভোক্তা ঝর্না সরেন বলেন, 'আমার বাংলা যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য ৬০ হাজার টাকা এসেছে। কিন্তু আমাদের নিজস্ব কোনও জায়গা-জমি নেই। আমরা যেখানে বসবাস করি সেটি ফরেস্টের জায়গা। তাই আমরা বাড়ি তৈরির কাজ শুরুই করতে পারিনি। জমির পাট্টার জন্য স্থানীয় নেতা, পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েছি। কিন্তু কিছু হয়নি। কবে এই সমস্যার সমাধান হবে, জানি না।'

  • Link to this news (এই সময়)