রেলের উচ্ছেদের বিরুদ্ধে একযোগে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলো বাম, তৃণমূল। ঘটনাটি হুগলির হরিপালের। পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা যাবে না, সেই দাবিতে রাস্তায় বুধবার প্রতিবাদে নামে তারা। আর দুই শিবিরের এই পদক্ষেপ নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। ঠিক কী হয়েছে?
একের পর নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও হরিপালে রেলের বিভিন্ন জায়গায় দোকানপাট চালানোর পাশাপাশি বসবাসও করে চলেছেন হাজার হাজার মানুষ। তাঁদেরকে সেই জায়গা ছাড়ার জন্য পূর্ব রেলের তরফে নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু একাধিকবার নোটিস দিয়ে কোনও লাভ হয়নি। বরং সেখানে বার বার স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষকে। এর পর বুধবারের মধ্যে হরিপাল স্টেশন সংলগ্ন রেলের জায়গা খালি করে দেবার জন্য সময়সীমা দেওয়া হয়। কিন্তু জায়গা খালি না করে এ দিন সকাল থেকেই রাস্তায় নামে সেখানকার তৃণমূল ও বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলি।
হরিপাল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় উচ্ছেদের প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, উপযুক্ত পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে পারবে না রেল। এ বিষয়ে হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক করবী মান্না বলেন, ‘বিজেপি সরকার কেন্দ্রে আছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত জনগণের জন্য কিছু করতে পারেনি। গরিব মানুষ, হকারদের পেটে লাথি মারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ। আমরা চাই রেলের উন্নতি হোক। কিন্তু পুর্নবাসন ছাড়া উচ্ছেদ অভিযান চলবে না।’ হুগলি জেলার সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক তীর্থঙ্কর রায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশটাকে তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তি ভাবছে। যে সমস্ত হকাররা এখানে কাজ করে উপার্জন করত, তাঁদের নোটিস দিয়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার বেআইনিভাবে পুলিশ দিয়ে হকার উচ্ছেদ করতে পারে না।’
এ দিকে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুশান্তকুমার বেরা বলেন, ‘রেল রেলের জায়গা নেবেই। এলাকার বিধায়ক ও মন্ত্রীরা স্থানীয় মানুষকে ভুল পথে পরিচালনা করছেন। রেলের জায়গায় তো আর পার্টি অফিস চলতে পারে না। যাঁরা ওখানে আছে, তাঁরা ঠিক বিকল্প জোগাড় করে নেবে।’