• তিন দশক আগে ভেঙেছে সাঁকো, সেতু না হওয়ায় ভোগান্তি দুই পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের
    বর্তমান | ২৭ মার্চ ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: এক সময় দু’টি পঞ্চায়েতের ছ’টি গ্রামের মানুষের যোগাযোগের ভরসা ছিল কাঠের সাঁকো। মরা মহানন্দার উপরে সেই সাঁকো দিয়ে নিয়মিত চলাচল ছিল চাঁচল-১ ব্লকের মতিহারপুর ও কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের। তিন দশক আগে বর্ষার জল ফুলেফেঁপে সেই কাঠের সাঁকো ভেসে যায় নদীতে। তারপর বরতর এলাকায় মরা মহানন্দা পারাপারের জন্য সেতু করা হয়নি। একসময় যে সাঁকো ছিল, সেখানে থাকা শালকাঠের খুঁটিগুলি এখনও প্রমাণ দিচ্ছে।

    মূলত কলিগ্রাম অঞ্চলের ভগবতীপুর, মুলাইবাড়ি ও হিরদানপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ রেশন আনতে যেতেন ওই সাঁকো পার হয়ে। বর্তমানে গ্রাহকদের অনেকটা ঘুরপথে যেতে হয়। বগচড়া, ধুমসাডাঙী, ডমাপীর ও বসন্তপুরের এলাকার মানুষ পাকুড়তলায় রাজ্য সড়কে বাস ধরতে গেলে এই পথ সহজ। কিন্তু সাঁকো ভেঙে যাওয়ার পর কেউ নতুন করে গড়ার উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ। 

    স্থানীয়দের দাবি, সেতু হলে দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষের সুবিধা হবে। স্থানীয় বাসিন্দা মোহন দাসের কথায়, এদিক দিয়েই আগে চলাচল করতাম। সাঁকো ভেঙে যাওয়ার পর কাজ হয়নি। সেতু  হলে অনেকেই সুবিধা পাবেন। 

    এক বাসিন্দা সাইফুল হক বলেন, এই রাস্তা দিয়ে রাজ্য সড়কে পৌঁছনো অনেকটা সহজ। কিন্তু সাঁকো না থাকায় ঘুরপথে যেতে হয় বাস ধরতে। দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হোক।

    এপ্রসঙ্গে চাঁচল-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অঞ্জনা সাহার মন্তব্য, বিষয়টি এলাকার কেউ জানাননি। সেখানে যাতে সেতু করা হয়, তা নিয়ে সমিতিতে আলোচনা করা হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)