• গাজোলে বিদ্যালয় তৈরিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ, বিক্ষোভ
    বর্তমান | ২৭ মার্চ ২০২৫
  • সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: মুখ্যমন্ত্রীর শিলান্যাস করা মালদহের গাজোলের ইচাচার মৌজায় আদিবাসী আবাসিক বিদ্যালয় (অলচিকি মাধ্যম) ভবনের কাজ নিম্নমানের করার অভিযোগ উঠল। বুধবার সকালে স্থানীয়রা গিয়ে কাজ বন্ধ করে ক্ষোভ উগরে দেন। 

    স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ করা হলে পরির্দশনে যান গাজোলের বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাস, আইসি আশীষ কুন্ডু, জয়েন্ট বিডিও সুব্রত শ্যামল, জেলা পরিষদের সদস্য দীনেশ টুডু, পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার সহ অন্যরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইট, বালি, সিমেন্ট অত্যন্ত নিম্নমানের।  ছাদ ঢালাই হওয়ার পর জল দেওয়া হচ্ছে না।

    স্থানীয় এবং ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে , ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি গাজোলে এই ভবনের কাজের শিলান্যাস করেন। বরাদ্দ করেন ৯ কোটি টাকার বেশি। সেপ্টেম্বরে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে পঠনপাঠন শুরুর পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। গ্রামবাসীদের পক্ষে সুনিরাম মার্ডি, কমল মুর্মু বলেন, উত্তরবঙ্গের মধ্যে কোথাও আলচিকি হাইস্কুল নেই। এটা গাজোলে হচ্ছে। আমাদের জন্য সেটা গর্বের। মুখ্যমন্ত্রী টাকা দিচ্ছেন। কিন্তু যে এজেন্সি কাজ পেয়েছে, তারা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছে। আমাদের এলাকায় প্রায় প্রতিবছরই বন্যা হয়। খারাপ কাজের জন্য স্কুলের ভবনের ক্ষতি হলে সেটা ছেলেমেয়েদের জন্য ভালো হবে না। সেজন্য আমরা বাধা দিয়েছি।

    এদিন পরির্দশনে গিয়ে আধিকারিকেরা পুরনো বালি, ইট বদলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পূর্ত দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শুভ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, গ্রামবাসীরা ভুল বুঝেছিলেন। এদিন তাঁদের কাজের ড্রয়িং, রিপোর্ট সহ সব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বালি টেস্ট হয়েছে। বাসিন্দারা চাইলে আবার টেস্ট করা হবে।

    গাজোলের বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাস বলেন, অভিযোগ তেমন কিছু নয়। ওদের দাবি ছিল, উচ্চ আধিকারিকেরা এসে কাজ দেখুন। আমরা সেটা করেছি। এটা মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। সর্বোচ্চ পর্যায়ের নজরদারি রয়েছে। মান নিয়ে কোনওরকম আপস করা হবে না। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে পঠনপাঠন শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)