রায়নার ছাত্রী অপহরণ, পলিগ্রাফ ও ভয়েস টেস্টে সম্মতি দুই অভিযুক্তের
বর্তমান | ২৭ মার্চ ২০২৫
সংবাদদাতা, বর্ধমান: ২০২৩ সালে রায়না থানার খালেরপুল এলাকার স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের মামলায় জামিনে মুক্ত থাকা শেখ সফিকুল ও শেখ জসিমউদ্দিনের পলিগ্রাফ এবং ভয়েস অ্যানালিসিস টেস্ট করানোর সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া দিল আদালত। তদন্তের প্রয়োজনে দু’জনের পলিগ্রাফ এবং ভয়েস অ্যানালিসিস টেস্ট করা অত্যন্ত জরুরি বলে আদালতে আবেদন জানায় সিবিআই। সেই আবেদনের শুনানি হয় বুধবার। সিবিআইয়ের আইনজীবী তাঁর সওয়ালে বলেন, ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় ওই দু’জনের জড়িত থাকার বিষয়ে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তার বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। তারা যে বয়ান দিয়েছে তা সত্য কি না তার পরীক্ষা করতে পলিগ্রাফ টেস্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এছাড়াও তদন্তকারী সংস্থার কাছে বেশকিছু তথ্য এসেছে, যার জন্য ভয়েস অ্যানালিসিস টেস্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
দু’জনই টেস্টে রাজি হয়েছে। এ ব্যাপারে তারা লিখিত সম্মতিও দিয়েছে। অভিযুক্তদের আইনজীবী অবশ্য পলিগ্রাফ টেস্ট করা সংবিধানের অধিকারের পরিপন্থী এবং সিবিআইয়ের আবেদন মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে সওয়াল করেন। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া দেন বর্ধমানের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত দায়রা বিচারক বিভাস চট্টোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে সিজেএম আদালতে তাদের সম্মতির কথা জানানোর জন্য দুই অভিযুক্তকে সেখানে হাজির করার জন্য নির্দেশ দেন বিচারক।
যদিও সিবিআইয়ের অপর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক। গলসি থানার একটি অপহরণের মামলায় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকা রহিম শেখ ওরফে খোকন, রমেশ কুমার ও রাজেশ মীনাকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে আবেদন জানায় সিবিআই। সেই আবেদনেরও এদিন শুনানি হয়। সিবিআইয়ের বক্তব্য শুনে ধৃত তিনজন প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের কোনও মামলায় জেলে না থাকায় নির্দিষ্ট ফোরামে আবেদন করার জন্য নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃত তিনজন বর্ধমান সংশোধনাগারে রয়েছে। মামলাটি সিজেএম আদালতে রয়েছে। সে কারণে আবেদনটি সিজেএম আদালতে করতে হবে বলে মত আইনজীবীদের। ১৬ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। তার আগেই দুই অভিযুক্তের পলিগ্রাফ ও ভয়েস অ্যানালিসিস টেস্ট করিয়ে নিতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।