• কালীঘাটে হকার্স মার্কেটে দোকানের চাবি হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ব্যবসায়ীরা
    বর্তমান | ২৭ মার্চ ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! অবশেষে কালীঘাট স্কাইওয়াকের পাশে নবনির্মিত হকার্স মার্কেটে দোকানের চাবি পেলেন ব্যবসায়ীরা। বুধবার একানকার হকার সংগঠন তথা ব্যবসায়ী সমিতির হাতে ১৭৫টি দোকানের চাবি তুলে দিলেন রাসবিহারীর বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রবীরকুমার মুখোপাধ্যায়। কালীঘাটে স্কাইওয়াক গড়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গেই এখানকার বহু পুরনো হকার্স মার্কেট সংস্কার করা হবে বলে ঠিক হয়েছিল। তার জন্য ব্যবসায়ীদের অস্থায়ীভাবে যতীন দাস পার্কে পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করে পুরসভা। চার বছরের মাথায় এসে নিজেদের পুরনো ঠিকানায় ফিরছেন হকাররা। নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মার্কেটে দোকান পেয়ে দৃশ্যতই খুশি ব্যবসায়ীরা। তবে নতুন মার্কেটে ব্যবসা কতটা হবে, তা নিয়ে আশা-নিরাশার দোলাচলে রয়েছেন তাঁরা। 

    কালীঘাট স্কাইওয়াক তৈরির জন্য এস পি মুখার্জি রোডের পাশে থাকা হকার্স কর্নার উন্নয়নের সিদ্ধান্ত হয়। ২০২১ সালের শুরুতেই কালীঘাট রিফিউজি হকার্স কর্নারের ব্যবসায়ীদের যতীন দাস পার্কে অস্থায়ী পুনর্বাসন দেওয়া শুরু হয়। ওই বছরের শেষ দিকে স্কাইওয়াক সহ নতুন পাঁচতলা হকার্স কর্নার নির্মাণের কাজে হাত লাগায় পুরসভা। কথা ছিল, ১৮ মাসে পুরনো জায়গায় ফিরবে হকার্স মার্কেট। চালু হয়ে যাবে স্কাইওয়াকও। কিন্তু চার বছরের মাথায় এদিন ১৭৫জন ব্যবসায়ীকে কাচে মোড়া ঝাঁ-চকচকে হকার্স মার্কেটে দোকানের চাবি তুলে দেওয়া হল। পুরসভা সূত্রে খবর, ১৫ হাজার বর্গফুটের বেশি এই মার্কেটের একতলা এবং দোতলায় রয়েছে পুরসভার অফিস এবং হকারদের দোকান। তিনতলা এবং চারতলায় রয়েছে হকার্স মার্কেট। ভবনের পাঁচতলায় পুরসভার আলোক বিভাগের অফিস থাকবে। স্কাইওয়াক, হকার্স মার্কেট সহ গোটা এলাকার এই উন্নয়নে খরচ হয়েছে ৮৩ কোটির কিছু বেশি টাকা। 

    এদিন স্থানীয় হকার সংগঠনের সম্পাদক ভোলা ঘোষ বলেন, ‘আমরা কখনও ভাবিনি যে জরাজীর্ণ অবস্থা থেকে এমন একটি জায়গায় আমাদের দোকান মিলবে। তবে স্কাইওয়াক চালু হওয়ার পর ব্যবসা কতটা হবে, তা নিয়ে একটা চিন্তা তো আছেই।’ কারণ, বহুদিন এই জায়গায় কোনও দোকান বা স্টল না থাকায় ক্রেতাদের অভ্যস্ত হয়ে উঠতে সময় লাগবে। তবে, ধীরে ধীরে সবটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশাবাদী তাঁরা। দোকানদার মদনমোহন সাহা বলেন, ‘মন্দিরের দর্শনার্থীরা স্কাইওয়াক ব্যবহার শুরু করলে ব্যবসা ভালোই হবে। চার বছর ধরে যতীন দাস পার্কে কোনওরকম ব্যবসা চলছিল। আবার নতুনভাবে এখানে শুরু করতে হবে। বাকিটা আমাদের নিয়তি।’ -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)