নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: রাজারহাটে রাতের অন্ধকারে পুলিসের উপস্থিতিতে পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠল। ডাম্পার দিয়ে মাটি ফেলার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা একজোট হয়ে বাইরে বেরিয়ে প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, পুলিস তাঁদের গ্রেপ্তারির ভয় দেখায়। কিন্তু, বিক্ষোভ ক্রমশ বাড়তে থাকায় শেষমেশ পুকুর ভরাট সম্ভব হয়নি। যাঁরা ভরাট করতে এসেছিলেন, তাঁরা ফিরে যেতে বাধ্য হন। মঙ্গলবার রাতে রাজারহাটের ২১১ নম্বর বাস রোড সংলগ্ন রেকজোয়ানি এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিস-প্রশাসনের দাবি, সরকারি নিয়ম মেনে অন্য এলাকায় পুকুর খনন করা হচ্ছে। তাই এই ভরাট বেআইনি নয়। জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই কাজ হচ্ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন ব্যাঙের ছাতার মতো এক এক করে বহুতল গজিয়ে উঠছে রাজারহাটে। আগে নিউটাউনে একাধিক বহুতল নির্মাণ হয়েছে। এখন রাজারহাট ছাড়িয়ে আশপাশের গ্রাম, পাড়ায় বহুতল গজিয়ে উঠছে। রেকজোয়ানির ওই জায়গায় বহুদিন ধরে একটি বড় পুকুর রয়েছে। বর্ষার সময় জলে পুষ্ট থাকে। এখনও জল রয়েছে। সেখানে বহুতল তোলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ লক্ষ্য করেন, ডাম্পার নিয়ে এসে পুকুর ভরাট শুরু হয়েছে। সঙ্গে ছিল পুলিস বাহিনীও। স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুর ভরাটের প্রতিবাদ করলে প্রথমে পুলিসই তাঁদের আটকায়। এতে আগুনে ঘি পড়ে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। পরে বিক্ষোভ সামাল দিতে না পেরে ভরাটের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এক আধিকারিক বলেন, ‘কমপেনসেটরি ওয়াটার বডি’ বলে একটি আইন রয়েছে। কোনও পুকুর যদি ভরাট করা হয়, তাহলে ওই মৌজা বা পাশে সমপরিমাণ জমিতে একটি পুকুর খনন করে দিতে হবে। এই অনুমতি কেবল জেলা প্রশাসনের রয়েছে। রেকজোয়ানির পুকুর ভরাট হলেও জেলা থেকে অনুমতি নিয়ে জগদীশপুর মৌজায় একটি পুকুর খনন করা হচ্ছে। তাই এটি বেআইনি ভরাটের পর্যায়ে পড়ে না। সেকারণেই পুলিস গিয়েছিল। নিজস্ব চিত্র