নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: সাতসকালেই ফাঁকা মাঠে মহিলার অর্ধনগ্ন ও দগ্ধ দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙার চণ্ডীগড় পঞ্চায়েতের শশিপুর এলাকায়। দেহ উদ্ধার করে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। তবে মৃতার পরিচয় জানা যায়নি। দেহ উদ্ধারের পর বিভিন্ন থানায় খবরও পাঠানো হয়েছে পুলিসের তরফে। তাদের আশা শীঘ্রই মৃতার পরিচয় জানা যাবে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে মাঠে যাচ্ছিলেন চাষিরা। তাঁদের নজরে আসে, মাঠে পড়ে রয়েছে এক মহিলার বিবস্ত্র ও দগ্ধ দেহ। শরীর থেকে বের হচ্ছে দুর্গন্ধ। স্থানীয়রা আমডাঙা থানায় খবর দেন। পুলিসের পদস্থকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। ছিলেন বারাসতের এসডিপিও আজিঙ্কে বিদ্যাগর আনন্ত, আমডাঙা থানার আইসিও। এসডিপিও জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে মহিলার দেহে। তবে দেহের পাশে আগুন জ্বালানোর কোনও সামগ্রী ছিল না। তদন্তকারীদের অনুমান, মহিলাকে অন্য কোথাও খুন করে দেহ এনে ফেলা হয়েছে এখানে। স্নিফার ডগ এনে গোটা ঘটনার দ্রুত কিনারা করতে চাইছে পুলিস। যে জমিতে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেই জমির মালিক মহম্মদ ইউসুফ আলি বলেন, সকালে পড়শিদের কাছে খবর পেয়ে মাঠে এসে দেখি দেহ পড়ে রয়েছে। কারা এই কাজ করল বুঝতে পারছি না। স্থানীয় বাসিন্দা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, মহিলার দেহ পোড়া অবস্থায় পড়েছিল। দেখে যা মনে হয়েছে মহিলার বয়স ৩০ থেকে ৩৫ এর মধ্যে হবে। মনে হল মহিলা বিবাহিত। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য আক্রাম হোসেন বলেন, এলাকা নিরিবিলি। আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আমরা সত্যিই অবাক। উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে বারাসত পুলিস জেলার দত্তপুকুর থানার বাজিতপুরে এক যুবকের মুণ্ডহীন দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। এর রেশ কাটার আগেই, আবারও এই পুলিস জেলায় এক মহিলার অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধারে শুরু হল চর্চা।