এই সময়, রাজারহাট: লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা যতই থাক, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেই আগ্রহী চিন। শিল্প, সংস্কৃতি, সিনেমা, পর্যটন, শিক্ষা–সহ সব ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে মেলবন্ধনে আগ্রহী চিন, এমনটাই জানালেন কলকাতায় নিযুক্ত চিনের কনসাল জেলারেল এক্সইউ উই।
বুধবার সল্টলেকে এক সাংবাদিক বৈঠকে কনসাল জেনারেল বলেন, ‘একশো বছর আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চিন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। আমি এখন তাঁর লেখা দুটো বই, যা চিনা ভাষায় অনুবাদ হয়েছে, তা পড়ছি। আমাদের পড়ুয়ারা শান্তিনিকেতনে এসে এখানকার পরিবেশ, পঠনপাঠনের পদ্ধতির সঙ্গে একাত্ম হয়েছেন। আমরা চাই ভারত ও চিনের মধ্যে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন আরও দৃঢ় হোক।’
চিন-ভারতের ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন্সের ৭৫ তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে এখানকার বেশি সংখ্যক পড়ুয়া, নৃত্যশিল্পী, মিউজিসিয়ান, সিনেমা–নির্মাতাদের চিনে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কনসাল জেনারেল। তিনি জানান, খাদ্যদ্রব্য, পর্যটন, সিনেমা—এ সব বেশি করে আদান–প্রদানের লক্ষ্যে চিন–ভারত উড়ানের সংখ্যা আরও বাড়নো হবে। কলকাতা থেকে দু’টি এবং গোটা ভারত থেকে ৫০টি উড়ান সরাসরি এখন চিনে যায়।
কনসাল জেনারেল জানান, ভারতে ক্রিকেট খুব জনপ্রিয়। চিনেও এই খেলা প্রচলনের জন্যে একজন ভারতীয় ক্রিকেট কোচকে সাংহাইতে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি সেখানে চিনা ছেলেদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। ভারতীয় সিনেমা চিনে কতটা জনপ্রিয় তা বোঝাতে কনসাল জেনারেল হিন্দি ছবি দেবদাস, থ্রি ইডিয়েটস, এক থা টাইগার, বজরঙ্গি ভাইজান, মহারাজা প্রভৃতি সিনেমার নাম করেন।
তাঁর কথায়, ‘চিন ও ভারত বিশ্বের দু’টি বড় প্রতিবেশী রাষ্ট্র। এরা যদি এক সঙ্গে থাকে তা হলে সব দিক থেকেই দু’দেশের উন্নতি হবে।’ তিনি জানান, কোভিডের আগের বছর ভারত থেকে সাড়ে আট লাখ পর্যটক চিনে গিয়েছিলেন। যদিও ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে প্রায় তিন লাখ। চিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের আগমন বাড়াতে ৩৮টি দেশের নাগরিকদের বিনামূল্যে ভিসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান কনসাল জেনারেল এক্সইউ উই।