গত ২১ মার্চ খড়্গপুর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তা উদ্বোধনে গিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেই সময়ে মহিলা তৃণমূল কর্মীদের বাধা পেয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে কটুক্তি করার অভিযোগ উঠেছিল এই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। ‘গলা টিপে দেব’ থেকে শুরু করে ‘বাবা’ তুলে কুমন্তব্য করেছিলেন দিলীপ। এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার রাতেই জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী মামণি মান্ডির নেতৃত্বে ওই ওয়ার্ডে একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু তাতে পা মেলাননি খড়্গপুর শহর মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা খড়্গপুরের পুরপ্রধান কল্যাণী ঘোষ।
শুধু তাই নয়, এই ঘটনা নিয়ে তাঁর কোনও প্রতিবাদ বা সক্রিয়তা দেখা যায়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় শাসক দলের নেতা নেত্রীদের। এই নিয়ে চর্চার মধ্যেই বৃহস্পতিবার কল্যাণী ঘোষ খড়্গপুর শহর মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। এর পরেই জল্পনা শুরু হয়, তবে কি ওই মিছিলে পা না মেলানোর কারণেই ইস্তফা দিতে হলো তাঁকে?
যদিও এই বিষয়ে কল্যাণী ঘোষ জানান, খড়্গপুরের পুরপ্রধানের দায়িত্বও রয়েছে তাঁর কাঁধে। সেই জন্য একাধিক দিকে নজর রাখতে হয় তাঁকে। সেক্ষেত্রে খড়্গপুর শহর মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী পদে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তিনি দলের কাছে আবেদন করেছেন। এর সঙ্গে মিছিলের কোনও যোগসূত্র তিনি মানতে চাননি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কল্যাণী ঘোষ ‘এই সময় অনলাইন’-কে বলেন, ‘আমি সত্যিই সময় দিতে পারছিলাম না। আর ওই দিন রাতে একটি ইফতার পার্টি আমি ছিলাম। আর সেই কারণে মিছিলে যোগ দিতে পারিনি।’
এ দিন সকালে রাজ্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘তিনি হয়তো চেয়ারম্যান এবং মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রীর দায়িত্ব একসঙ্গে পালন করতে পারছিলেন না। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের প্রেক্ষিতেও তাঁর ভূমিকা ইতিবাচক ছিল না।’
(তথ্য সহায়তা: মণিরাজ ঘোষ)