কিছু দিন আগেই ছাত্র ভোটের দাবি নিয়ে উত্তাল হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বিভিন্ন কলেজও ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবি নিয়ে সরব হয় বিরোধী ছাত্র দলগুলি। এই আবহে রাজ্যের কিছুটা অস্বস্তি বাড়ল হাইকোর্টে। রাজ্যের প্রতিটি কলেজের নির্বাচন নিয়ে উচ্চশিক্ষা দপ্তর কবে পদক্ষেপ করবে, হলফনামা দিয়ে তা জানাতে বলল আদালত। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে।
প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ছাত্র নির্বাচন নিয়ে রাজ্যের অবস্থান কী? প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, নির্বাচন না হলে ছাত্রদের মধ্যে একটা ক্ষোভ তৈরি হয়। মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ছিলেন উদয় চট্টোপাধ্যায়, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তাঁরা আদালতে সওয়াল করেন, অন্য কোনও নির্বাচন রাজ্যে বন্ধ হয় না। কিন্তু সমস্যা হয় কলেজের নির্বাচন করতে। ২০১৩ সালের পর এ রাজ্যের কলেজগুলিতে কোনও নির্বাচন হয়নি বলেও আদালতে জানান তাঁরা।
রাজ্যের তরফে এ দিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী শীর্ষণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনাদের একটা অবস্থান নিতে হবে। নির্বাচন না হলে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। এই ধরনের মামলায় সব সময় আপনারা সময় চান। তারপর ভোটার লিস্ট তৈরি হয়ে গেলে আদালতে সবাই আসেন। আপনারা কবে নির্বাচন করবেন, সেটা ঠিক করে জানান।’
রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে এ দিন বলেন, ‘আমাদের আরও সময় দেওয়া হোক। বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, পদ্ধতির মধ্যে আছে।’ আদালত জানায়, রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি দু’বছর অন্তর নির্বাচন হওয়ার কথা। অথচ দশক পার করেও ভোট হয়নি। উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের কাছে এ নিয়ে হলফনামা চায় আদালত। সেখানে স্পষ্ট করে অবস্থান জানাতে হবে। তিন সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি হবে।